অটোভ্যান চালক সিয়াম হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩


ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অটোভ্যান চালক সিয়াম (১৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুজনসহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত সিয়াম ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের মাড়াদেওড়া গ্রামের মকবুল হোসেন ও ফরিদা খাতুনের ছেলে। সে স্থানীয় ব্র্যাক স্কুল থেকে এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অবসরে সে ভ্যানটি চালিয়ে অভাবী সংসারের হাল ধরতে বাবাকে সহযোগিতা করতো।
গ্রেফতাররা হলেন, ফুলপুর উপজেলার বড়শুনই চকহরিরামপুর গ্রামের উলাস উদ্দিনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান মেজুক (১৭) ও একই এলাকার মো. আব্দুল হালিমের ছেলে মো. খাইরুল ইসলাম (১৬)। তাদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া ছিনতাইকৃত ভ্যানের ক্রেতা ও গ্যারেজ মালিক রতন কুমার সাহাকে (৪৫) ময়মনসিংহ রেলির মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা ডিবি পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি সিয়াম নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, সিয়াম এবার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। পড়াশোনার পাশাপাশি তার পরিবারে অর্থের যোগান দিতে অন্যের অটোভ্যান ভাড়া নিয়ে চালাতো।
গত ২৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাকনি গ্রামের রিয়াজতের অটোভ্যান ভাড়া চালানোর জন্য বের হয়। কিন্তু প্রতিদিনের ন্যায় ঐদিন সন্ধ্যায় সে আর বাড়ী ফিরেনি। পরিবারের লোকজন রাতভর হন্যে হয়ে খুঁজাখুঁজির পরও ছেলে সিয়ামকে পায়নি।
পরদিন ৩০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার তারাকান্দা উপজেলার কাটলী বাজার ব্রিজের নীচ থেকে সিয়ামের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার চালানো অটোভ্যানটি পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহত সিয়ামের বাবা মকবুল হোসেন থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওসি আরও বলেন, হত্যায় জড়িত দুুজনকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা জানিয়েছেন, ছিনতাইয়ের জন্যেই তারা ঘটনার দিন ভিকটিমের অটোভ্যানটি ২০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে তারাকান্দা নিয়ে যায়। সারাদিন তাকে নিয়ে তারাকান্দা এলাকায় ঘুরাফেরা করে।
সন্ধ্যার পর ব্রিজের নীচে হত্যা করে ভ্যান নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে চলে আসে। নগরীর পাটগুদাম রেলির মোড়ে রতনের গ্যারেজে পাঁচ হাজার ৯০০ টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করে ঢাকায় চলে যায়। গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : ময়মনসিংহে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
ভয়েস টিভি/এমএইচ
নিহত সিয়াম ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের মাড়াদেওড়া গ্রামের মকবুল হোসেন ও ফরিদা খাতুনের ছেলে। সে স্থানীয় ব্র্যাক স্কুল থেকে এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অবসরে সে ভ্যানটি চালিয়ে অভাবী সংসারের হাল ধরতে বাবাকে সহযোগিতা করতো।
গ্রেফতাররা হলেন, ফুলপুর উপজেলার বড়শুনই চকহরিরামপুর গ্রামের উলাস উদ্দিনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান মেজুক (১৭) ও একই এলাকার মো. আব্দুল হালিমের ছেলে মো. খাইরুল ইসলাম (১৬)। তাদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া ছিনতাইকৃত ভ্যানের ক্রেতা ও গ্যারেজ মালিক রতন কুমার সাহাকে (৪৫) ময়মনসিংহ রেলির মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা ডিবি পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি সিয়াম নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, সিয়াম এবার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। পড়াশোনার পাশাপাশি তার পরিবারে অর্থের যোগান দিতে অন্যের অটোভ্যান ভাড়া নিয়ে চালাতো।

গত ২৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাকনি গ্রামের রিয়াজতের অটোভ্যান ভাড়া চালানোর জন্য বের হয়। কিন্তু প্রতিদিনের ন্যায় ঐদিন সন্ধ্যায় সে আর বাড়ী ফিরেনি। পরিবারের লোকজন রাতভর হন্যে হয়ে খুঁজাখুঁজির পরও ছেলে সিয়ামকে পায়নি।
পরদিন ৩০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার তারাকান্দা উপজেলার কাটলী বাজার ব্রিজের নীচ থেকে সিয়ামের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার চালানো অটোভ্যানটি পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহত সিয়ামের বাবা মকবুল হোসেন থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওসি আরও বলেন, হত্যায় জড়িত দুুজনকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা জানিয়েছেন, ছিনতাইয়ের জন্যেই তারা ঘটনার দিন ভিকটিমের অটোভ্যানটি ২০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে তারাকান্দা নিয়ে যায়। সারাদিন তাকে নিয়ে তারাকান্দা এলাকায় ঘুরাফেরা করে।
সন্ধ্যার পর ব্রিজের নীচে হত্যা করে ভ্যান নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে চলে আসে। নগরীর পাটগুদাম রেলির মোড়ে রতনের গ্যারেজে পাঁচ হাজার ৯০০ টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করে ঢাকায় চলে যায়। গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : ময়মনসিংহে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
ভয়েস টিভি/এমএইচ
সর্বশেষ সংবাদ