অসহায়ের ভরসা আলী ইউসুফ


কে রাখে কার খবর। সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত সবসময়। এর মাঝেও কিছু মানবিক মানুষের জন্যে অসহায় মানুষেরা বেঁচে থাকার ভরসা খুঁজে পায়। ময়মনসিংহের আলী ইউসুফ তাদের মধ্যে একজন। সবার কাছে তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পরিচিত।
এতিম শিশুদের খাবার, ঈদে নতুন পোশাক, শীতে কম্বল ও গরমে ফ্যানের ব্যবস্থা করে দেয়া, করোনায় মৃতদের লাশ সৎকার করা, লাশ কাঁধে নিয়ে জানাজায় অংশগ্রহণ করা, করোনায় আক্রান্তের বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে সবার কাছে মানবিক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পরিচিত তিনি।
আলী ইউসুফ পেশায় একজন মুদ্রণ ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্য-সংস্কৃতি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছেন এই ছড়াকার। এছাড়াও সুশাসনের জন্যে নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ময়মনসিংহের রহমতপুরের রওযাতুল কুরআন এতিমখানায় বর্তমানে ৮০ জন এতিম শিশু রয়েছে। শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয়েছে। তাই আগে থেকেই এসব শিশুদের জন্যে কম্বল, শীতের পোশাক, জুতা, আর মেঝের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে বিত্তবানদের কাছে ছোটাছুটি করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
৭ নভেম্বর শনিবার সকালে ৮০টি কম্বল জোগাড় করে তুলে দিয়েছেন অসহায় এসব এতিম শিশুদের হাতে। এর আগে বিত্তবানদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এতিমখানার ফ্যানের অভাবে ঘুচিয়েছেন তিনি।
এছাড়া ময়মনসিংহের বহুরূপী নাট্য সংস্থার উদ্যোগে ও সচিব শাহাদাত হোসেন খান হীলু পরিচালনায় করোনায় আক্রান্তদের প্রয়োজনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রোগীর বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠানো হচ্ছে। এই কার্যক্রমেরও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক ইউসুফ।
দিনে বা রাতে যেকোনো সময় ফোন করলেই রিক্সা কিংবা মোটরসাইকেলে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে আসেন তিনি। এছাড়া প্রয়োজনে একাধির সিলিন্ডার পাঠাতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রেখেছেন বেশ কয়েকজন সেচ্ছাসেবী যুবক।
রওযাতুল কুরআন এতিমখানার পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, এতিমখানার শিশুদের জন্যে ঈদ-উল-ফিতরে পরার মতো নতুন পোশাক ছিলো না। বিষয়টি জানতে পারেন আলী ইউসুফ। সবাই পরবে নতুন পোশাক, আর এতিমরা পরবে পুরাতন পোশাক এটা তার বিবেকে বাঁধে।
তাই তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে পোশাকের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। তারপর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নাজমুল হুদা খোকনসহ অনেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে সহায়তাকারীরা সাওয়াবের আশায় নাম প্রকাশ করেননি।
এছাড়াও এতিমখানায় ২টি ফ্যান দরকার ছিল। তখন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ১৫০০ টাকা দেন। আসলে তাদের মতো মানুষদেরকেই মানবিক মানুষ বলা যায়।
প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ক্বারি শফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষ যে এতটা মানবিক এতিমখানার উসিলায় তা নিজ চোখে দেখেছি। এতিম শিশুদের সবাই ভালোবাসে। স্বেচ্ছাসেবক আলী ইউসুফের মতো মানুষদের আন্তরিকতার জন্যে অনেক অসহায়রা উপকৃত হয়।
বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দেয়ার উদ্যোক্তা ময়মনসিংহ বহুরূপী নাট্য সংস্থার সচিব শাহাদাত হোসেন খান হীলু বলেন, করোনাকালে শুধু মানবিক কারণে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনের সময় অক্সিজেন সেবা দিয়ে যদি একটি জীবনও বেঁচে যায় তাহলে সেটাই আমাদের সার্থকতা।
আরও পড়ুন: অসহায়দের পাশে এক মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা
স্বেচ্ছাসেবক আলী ইউসুফ বলেন, কোনো কিছুর আশা কিংবা প্রশংসা কুড়ানোর জন্যে এগুলো করি না। কাউকে না কাউকে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই হবে। এই কাজে অবশ্যই সওয়াব পাওয়া যায়, আর মনের ভিতর তৃপ্তি আসে। যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্যেই কাজ করে যাবো।
ভয়েস টিভি/এমএইচ
এতিম শিশুদের খাবার, ঈদে নতুন পোশাক, শীতে কম্বল ও গরমে ফ্যানের ব্যবস্থা করে দেয়া, করোনায় মৃতদের লাশ সৎকার করা, লাশ কাঁধে নিয়ে জানাজায় অংশগ্রহণ করা, করোনায় আক্রান্তের বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে সবার কাছে মানবিক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পরিচিত তিনি।
আলী ইউসুফ পেশায় একজন মুদ্রণ ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্য-সংস্কৃতি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছেন এই ছড়াকার। এছাড়াও সুশাসনের জন্যে নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ময়মনসিংহের রহমতপুরের রওযাতুল কুরআন এতিমখানায় বর্তমানে ৮০ জন এতিম শিশু রয়েছে। শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয়েছে। তাই আগে থেকেই এসব শিশুদের জন্যে কম্বল, শীতের পোশাক, জুতা, আর মেঝের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে বিত্তবানদের কাছে ছোটাছুটি করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

৭ নভেম্বর শনিবার সকালে ৮০টি কম্বল জোগাড় করে তুলে দিয়েছেন অসহায় এসব এতিম শিশুদের হাতে। এর আগে বিত্তবানদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এতিমখানার ফ্যানের অভাবে ঘুচিয়েছেন তিনি।
এছাড়া ময়মনসিংহের বহুরূপী নাট্য সংস্থার উদ্যোগে ও সচিব শাহাদাত হোসেন খান হীলু পরিচালনায় করোনায় আক্রান্তদের প্রয়োজনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রোগীর বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠানো হচ্ছে। এই কার্যক্রমেরও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক ইউসুফ।
দিনে বা রাতে যেকোনো সময় ফোন করলেই রিক্সা কিংবা মোটরসাইকেলে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে আসেন তিনি। এছাড়া প্রয়োজনে একাধির সিলিন্ডার পাঠাতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রেখেছেন বেশ কয়েকজন সেচ্ছাসেবী যুবক।
রওযাতুল কুরআন এতিমখানার পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, এতিমখানার শিশুদের জন্যে ঈদ-উল-ফিতরে পরার মতো নতুন পোশাক ছিলো না। বিষয়টি জানতে পারেন আলী ইউসুফ। সবাই পরবে নতুন পোশাক, আর এতিমরা পরবে পুরাতন পোশাক এটা তার বিবেকে বাঁধে।

তাই তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে পোশাকের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। তারপর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নাজমুল হুদা খোকনসহ অনেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে সহায়তাকারীরা সাওয়াবের আশায় নাম প্রকাশ করেননি।
এছাড়াও এতিমখানায় ২টি ফ্যান দরকার ছিল। তখন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ১৫০০ টাকা দেন। আসলে তাদের মতো মানুষদেরকেই মানবিক মানুষ বলা যায়।
প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ক্বারি শফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষ যে এতটা মানবিক এতিমখানার উসিলায় তা নিজ চোখে দেখেছি। এতিম শিশুদের সবাই ভালোবাসে। স্বেচ্ছাসেবক আলী ইউসুফের মতো মানুষদের আন্তরিকতার জন্যে অনেক অসহায়রা উপকৃত হয়।
বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দেয়ার উদ্যোক্তা ময়মনসিংহ বহুরূপী নাট্য সংস্থার সচিব শাহাদাত হোসেন খান হীলু বলেন, করোনাকালে শুধু মানবিক কারণে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনের সময় অক্সিজেন সেবা দিয়ে যদি একটি জীবনও বেঁচে যায় তাহলে সেটাই আমাদের সার্থকতা।
আরও পড়ুন: অসহায়দের পাশে এক মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা
স্বেচ্ছাসেবক আলী ইউসুফ বলেন, কোনো কিছুর আশা কিংবা প্রশংসা কুড়ানোর জন্যে এগুলো করি না। কাউকে না কাউকে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই হবে। এই কাজে অবশ্যই সওয়াব পাওয়া যায়, আর মনের ভিতর তৃপ্তি আসে। যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্যেই কাজ করে যাবো।
ভয়েস টিভি/এমএইচ
সর্বশেষ সংবাদ