উলিপুরে জাল সনদে চিকিৎসক সেজে প্রতারণা


কুড়িগ্রামের উলিপুরে জাল সনদে চিকিৎসক সেজে রোগীদের বোকা বানিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার না-পেয়ে হতাশ স্থানীয়রা।
অভিযোগে সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পাণ্ডুল ইউনিয়নের ভন্নাটারী গ্রামের মো. হান্নান সরকারের ছেলে মো. নুরনবী সরকার প্রায় এক বৎসর ধরে নিজেকে মেডিকেল অফিসার, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞসহ বড় চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন।
অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে কিডনি, লিভার, ফুসফুস পাকস্থলী, জন্ডিস, চক্ষুরোগ, নাক-কান ও গলার রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়- এমন চটকদার বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে রোগী দেখছেন তিনি। দালালদের মাধ্যমে নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে চিকিৎসার নামে ধোঁকা দিয়ে নিজের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এতে ওই এলাকাসহ আশপাশের নিরীহ সাধারণ মানুষ চটকদার বিজ্ঞাপন ও দালালদের ফাঁদে পড়ে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা পেয়ে পড়ছেন শারীরিক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে।
তিনি একই নামের অপর একজনের এইচআরটিডি মেডিকেল ইন্সটিটিউট, ঢাকা প্রদত্ত সনদ এবং ওই ব্যক্তির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১৭১৩১ সাইনবোর্ড ও ব্যবস্থাপত্রে ব্যবহার করে আসছেন।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উলিপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি অভিযুক্তের চেম্বারে গিয়ে একটি মেশিন দেখতে পান। তবে সেটি নষ্ট থাকার কথা জানিয়ে বলেন যে, তিনি তার সনদের কপি নিয়ে এসেছেন এবং তাকে ব্যবস্থাপত্রে ডা. লিখতে নিষেধ করেছেন।
তার নিকট ঢাকা মিরপুরে অবস্থিত পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন মেয়াদী দুটি ডিপ্লোমা মেডিকেল সনদ পাওয়া গেছে। তবে যাচাই-বাছাই করে সিভিল সার্জন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ ব্যাপারে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে অভিযুক্ত মো. নুরনবী সরকার দাবি করেন, তিনি ঢাকার মিরপুর ১০ ও ১২ তে অবস্থিত এসপিকেএস থেকে দুই বৎসর মেয়াদি ডিপ্লোমা মেডিকেল এবং এইচআরটিডি ডিপ্লোমা মেডিকেল ইন্সটিটিউট থেকে এক বৎসর মেয়াদী অপথালমোলজির ওপর কোর্স করেছেন।
তবে মেশিন দ্বারা রোগ নির্ণয় করার কথা অস্বীকার করেন তিনি। এছাড়াও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশ মেনে ব্যবস্থাপত্রে ডা. লেখা বাদ দিয়েছেন জানিয়ে বলেন, রোগীরা আসলে আমার কি দোষ?
ভয়েস টিভি/এমএইচ
অভিযোগে সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পাণ্ডুল ইউনিয়নের ভন্নাটারী গ্রামের মো. হান্নান সরকারের ছেলে মো. নুরনবী সরকার প্রায় এক বৎসর ধরে নিজেকে মেডিকেল অফিসার, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞসহ বড় চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন।
অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে কিডনি, লিভার, ফুসফুস পাকস্থলী, জন্ডিস, চক্ষুরোগ, নাক-কান ও গলার রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়- এমন চটকদার বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে রোগী দেখছেন তিনি। দালালদের মাধ্যমে নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে চিকিৎসার নামে ধোঁকা দিয়ে নিজের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এতে ওই এলাকাসহ আশপাশের নিরীহ সাধারণ মানুষ চটকদার বিজ্ঞাপন ও দালালদের ফাঁদে পড়ে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা পেয়ে পড়ছেন শারীরিক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে।
তিনি একই নামের অপর একজনের এইচআরটিডি মেডিকেল ইন্সটিটিউট, ঢাকা প্রদত্ত সনদ এবং ওই ব্যক্তির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১৭১৩১ সাইনবোর্ড ও ব্যবস্থাপত্রে ব্যবহার করে আসছেন।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উলিপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি অভিযুক্তের চেম্বারে গিয়ে একটি মেশিন দেখতে পান। তবে সেটি নষ্ট থাকার কথা জানিয়ে বলেন যে, তিনি তার সনদের কপি নিয়ে এসেছেন এবং তাকে ব্যবস্থাপত্রে ডা. লিখতে নিষেধ করেছেন।
তার নিকট ঢাকা মিরপুরে অবস্থিত পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন মেয়াদী দুটি ডিপ্লোমা মেডিকেল সনদ পাওয়া গেছে। তবে যাচাই-বাছাই করে সিভিল সার্জন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ ব্যাপারে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে অভিযুক্ত মো. নুরনবী সরকার দাবি করেন, তিনি ঢাকার মিরপুর ১০ ও ১২ তে অবস্থিত এসপিকেএস থেকে দুই বৎসর মেয়াদি ডিপ্লোমা মেডিকেল এবং এইচআরটিডি ডিপ্লোমা মেডিকেল ইন্সটিটিউট থেকে এক বৎসর মেয়াদী অপথালমোলজির ওপর কোর্স করেছেন।
তবে মেশিন দ্বারা রোগ নির্ণয় করার কথা অস্বীকার করেন তিনি। এছাড়াও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশ মেনে ব্যবস্থাপত্রে ডা. লেখা বাদ দিয়েছেন জানিয়ে বলেন, রোগীরা আসলে আমার কি দোষ?
ভয়েস টিভি/এমএইচ
সর্বশেষ সংবাদ