কিশোর হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনায় গ্রেফতার ২


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধে ফয়সাল (১৭) নামের এক কিশোরকে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সেইসঙ্গে নিহত ফয়সালের লাশও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাগ মহিষা ঋষিপাড়া গ্রামের তপন শীলের ছেলে অপূর্ব শীল (১৯) এবং তপু চন্দ্র দাস (২৫)।
শুক্রবার ভোর ৪টায় আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৌরসভার বাগ মহিষা ঋষিপাড়া এলাকার ডোবা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে র্যাব-১১। নিহত ফয়সাল পৌরসভার জিয়ানগর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ সিইও ল্যাফটেন্ট কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর সিইও জানান, গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে পাশ্বর্বতী লাহাপাড়া গ্রামের মামার বাড়ি থেকে বের হয়ে কিশোর ফয়সাল আর নিজ বাড়িতে ফেরেনি। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বহু খোঁজাখুজির পর তার সন্ধান না পেয়ে পরদিন ২৭ জানুয়ারি ফয়সালের মামা মো. মানিক বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
পরবর্তীতে র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল নিখোঁজ ফয়সালের সন্ধানে নামেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ডেকে আনা অপূর্ব শীলকে শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব সদস্যরা সোনারগাঁও পৌর এলাকা থেকে অপূর্বকে গ্রেফতার করেন।
তিনি আরও জানান, র্যাবের জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেফতারকৃত অপূর্ব নিখোঁজ ফয়সালকে নীল রঙের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে রাখার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে ফয়সালের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আসামি অপূর্ব। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর আসামি অপূর্বর স্বীকারোক্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামি তপু চন্দ্র দাসকেও (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ফয়সালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ভয়েসটিভি/এমএম
শুক্রবার ভোর ৪টায় আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৌরসভার বাগ মহিষা ঋষিপাড়া এলাকার ডোবা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে র্যাব-১১। নিহত ফয়সাল পৌরসভার জিয়ানগর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ সিইও ল্যাফটেন্ট কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর সিইও জানান, গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে পাশ্বর্বতী লাহাপাড়া গ্রামের মামার বাড়ি থেকে বের হয়ে কিশোর ফয়সাল আর নিজ বাড়িতে ফেরেনি। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বহু খোঁজাখুজির পর তার সন্ধান না পেয়ে পরদিন ২৭ জানুয়ারি ফয়সালের মামা মো. মানিক বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
পরবর্তীতে র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল নিখোঁজ ফয়সালের সন্ধানে নামেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ডেকে আনা অপূর্ব শীলকে শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব সদস্যরা সোনারগাঁও পৌর এলাকা থেকে অপূর্বকে গ্রেফতার করেন।
তিনি আরও জানান, র্যাবের জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেফতারকৃত অপূর্ব নিখোঁজ ফয়সালকে নীল রঙের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে রাখার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে ফয়সালের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আসামি অপূর্ব। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর আসামি অপূর্বর স্বীকারোক্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামি তপু চন্দ্র দাসকেও (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ফয়সালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ভয়েসটিভি/এমএম
সর্বশেষ সংবাদ