ছন্নছাড়া ব্যাটিং, একরাশ শঙ্কায় বাংলাদেশ


উইন্ডিজের চার শতাধিক রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট দিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০৫ রান। পুরো টপ অর্ডার ধসে পড়েছে। এখনও দলের 'নামকরা' ব্যাটসম্যানরা আছেন; তবে ইতোমধ্যেই দেখা দিয়েছে ফলো অনের শঙ্কা। ব্যাটসম্যানরা যেভাবে হেলায় উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসছেন; তাতে বাকি উইকেটগুলো নিয়ে দল কতদূর যাবে সেটাও একটা আশংকার বিষয়। দিনশেষে বাংলাদেশ এখনও ৩০৪ রানে পিছিয়ে।
উইন্ডিজের বড় সংগ্রহের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিবের ইনজুরির সুযোগে দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার প্রথম ওভারের শেষ বলে 'ডাক' মেরে ফিরেন। তাকে শিকার করেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ১ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর আরেক তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। একটি বাউন্ডারিতে ৪ রান করে গ্যাব্রিয়েলের ফিরতি ওভারে ক্যাচ তুলে দেন এনক্রুমা বোনারের হাতে। ১১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক দল পড়ে অথৈ সমুদ্রে।
তামিম ইকবালের সঙ্গে অধিনায়ক মুমিনুল হক মিলে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছিলেন। জুটিতে এসে যায় ৫৮ রান। তামিম বেশ ভালোই শট খেলছিলেন। দুজনের ব্যাটিং যখন জমে গেছে, তখনই রাকিম কর্নওয়ালের আঘাত। দীর্ঘদেহী এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে উইকেটকিপার জসুয়া ডি সিলভার গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরেন ৩৯ বলে ২১ রান করা মুমিনুল। ৬৯ রানে বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায়। তামিম ইকবালও ধৈর্য্য ধরতে পারেননি। পরের ওভারেই আলজেরি জোসেফের বলে ক্যাচ তুলে দেন মোজলের হাতে। শেষ হয় তার ৫২ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস।
এই অবস্থা থেকে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম আর মোহাম্মদ মিঠুন। দিনের শেষভাগে উইকেট পতনের জোড়ালো সম্ভাবনা থাকে। এই দুজন টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ৩৪* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শেষ পর্যন্ত আর কোনো বিপদ ঘটেনি। মুশফিক ৬১ বলে ২৭* আর মিঠুন ৬১ বলে মাত্র ৬* রান তুলে অসীম ধৈর্যের পরিচয় দেন। ৪ উইকেটে ১০৫ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এখনও সফরকারীদের চেয়ে তারা ৩০৪ রানে পিছিয়ে আছে। মুশফিক-মিঠুনের এই ব্যাটিং কাল সকালে অনেক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। নাহলে বাংলাদেশের সামনে সমূহ বিপদ।
এর আগে ৫ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে উইন্ডিজ। আজ দিনের শুরু থেকেই তারা দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিল। সকালে খেলা শুরু হওয়ার কিছু পরেই তারা হারিয়েছে এনক্রুমা বোনারকে। ২০৯ বলের দারুণ ইনিংস খেলা বোনার সেঞ্চুরি মিস করেছেন। থেমেছেন ঠিক ৯০ রানে। বাউন্ডারি মেরেছেন ৭টি। একটাও ওভার বাউন্ডারি নেই। তাকে ফেরত পাঠিয়ে ১৫০তম আন্তর্জাতিক উইকেট পেয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম সেশনে এই একটাই সাফল্য বাংলাদেশের।
বোনারের বিদায়ে ভাঙে জসুয়া ডি সিলভার সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি। এরপর উইকেটে এসে জাঁকিয়ে বসেন আলজারি জোসেফ। জসুয়া-জোসেফের জুটি তরতর করে এগোতে থাকে। এর মাঝেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন ডি সিলভা। বাংলাদেশের বোলিং হয়ে পড়ে নখদন্তহীন। ৮৪ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন আলজারি জোসেফ। জসুয়া এগোচ্ছিলেন তিন অংকের দিকে। তবে দুজনের কেউই শেষ পর্যন্ত তিন অংক ছুঁতে পারেননি।
৭ম উইকেটে ১১৮ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে ১৮৭ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৯২ রানে বোল্ড হয়ে যান জসুয়া ডি সিলভা। ১২ রানের ব্যবধানে ১০৮ বলে ৮ চার ৫ ছক্কায় ৮২ রান করা আলজারি জোসেফকে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন আবু জায়েদ। পরের দুই উইকেট দ্রুতই হারায় ক্যারিবীয়রা। ওয়ারিক্যানকে (২) ফেরান আবু জায়েদ আর শ্যানন গ্যাব্রিয়েল (৮) তাইজুলের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন। ৪০৯ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয় উইন্ডিজের। ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ আর তাইজুল। ১টি করে নিয়েছেন সৌম্য সরকার এবং মেহেদি মিরাজ।
ভয়েসটিভি/এএস
উইন্ডিজের বড় সংগ্রহের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিবের ইনজুরির সুযোগে দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার প্রথম ওভারের শেষ বলে 'ডাক' মেরে ফিরেন। তাকে শিকার করেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ১ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর আরেক তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। একটি বাউন্ডারিতে ৪ রান করে গ্যাব্রিয়েলের ফিরতি ওভারে ক্যাচ তুলে দেন এনক্রুমা বোনারের হাতে। ১১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক দল পড়ে অথৈ সমুদ্রে।
তামিম ইকবালের সঙ্গে অধিনায়ক মুমিনুল হক মিলে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছিলেন। জুটিতে এসে যায় ৫৮ রান। তামিম বেশ ভালোই শট খেলছিলেন। দুজনের ব্যাটিং যখন জমে গেছে, তখনই রাকিম কর্নওয়ালের আঘাত। দীর্ঘদেহী এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে উইকেটকিপার জসুয়া ডি সিলভার গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরেন ৩৯ বলে ২১ রান করা মুমিনুল। ৬৯ রানে বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায়। তামিম ইকবালও ধৈর্য্য ধরতে পারেননি। পরের ওভারেই আলজেরি জোসেফের বলে ক্যাচ তুলে দেন মোজলের হাতে। শেষ হয় তার ৫২ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস।
এই অবস্থা থেকে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম আর মোহাম্মদ মিঠুন। দিনের শেষভাগে উইকেট পতনের জোড়ালো সম্ভাবনা থাকে। এই দুজন টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ৩৪* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শেষ পর্যন্ত আর কোনো বিপদ ঘটেনি। মুশফিক ৬১ বলে ২৭* আর মিঠুন ৬১ বলে মাত্র ৬* রান তুলে অসীম ধৈর্যের পরিচয় দেন। ৪ উইকেটে ১০৫ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এখনও সফরকারীদের চেয়ে তারা ৩০৪ রানে পিছিয়ে আছে। মুশফিক-মিঠুনের এই ব্যাটিং কাল সকালে অনেক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। নাহলে বাংলাদেশের সামনে সমূহ বিপদ।
এর আগে ৫ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে উইন্ডিজ। আজ দিনের শুরু থেকেই তারা দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিল। সকালে খেলা শুরু হওয়ার কিছু পরেই তারা হারিয়েছে এনক্রুমা বোনারকে। ২০৯ বলের দারুণ ইনিংস খেলা বোনার সেঞ্চুরি মিস করেছেন। থেমেছেন ঠিক ৯০ রানে। বাউন্ডারি মেরেছেন ৭টি। একটাও ওভার বাউন্ডারি নেই। তাকে ফেরত পাঠিয়ে ১৫০তম আন্তর্জাতিক উইকেট পেয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম সেশনে এই একটাই সাফল্য বাংলাদেশের।
বোনারের বিদায়ে ভাঙে জসুয়া ডি সিলভার সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি। এরপর উইকেটে এসে জাঁকিয়ে বসেন আলজারি জোসেফ। জসুয়া-জোসেফের জুটি তরতর করে এগোতে থাকে। এর মাঝেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন ডি সিলভা। বাংলাদেশের বোলিং হয়ে পড়ে নখদন্তহীন। ৮৪ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন আলজারি জোসেফ। জসুয়া এগোচ্ছিলেন তিন অংকের দিকে। তবে দুজনের কেউই শেষ পর্যন্ত তিন অংক ছুঁতে পারেননি।
৭ম উইকেটে ১১৮ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে ১৮৭ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৯২ রানে বোল্ড হয়ে যান জসুয়া ডি সিলভা। ১২ রানের ব্যবধানে ১০৮ বলে ৮ চার ৫ ছক্কায় ৮২ রান করা আলজারি জোসেফকে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন আবু জায়েদ। পরের দুই উইকেট দ্রুতই হারায় ক্যারিবীয়রা। ওয়ারিক্যানকে (২) ফেরান আবু জায়েদ আর শ্যানন গ্যাব্রিয়েল (৮) তাইজুলের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন। ৪০৯ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয় উইন্ডিজের। ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ আর তাইজুল। ১টি করে নিয়েছেন সৌম্য সরকার এবং মেহেদি মিরাজ।
ভয়েসটিভি/এএস
সর্বশেষ সংবাদ