রহস্যে ঘেরা তুতেন খামেনের মমি!


মিসরের পিরামিড আর মমি নিয়ে রয়েছে নানা লোককথা। আধুনিককালের বিজ্ঞানের বিস্ময় সেই আদিকালের পিরামিড, মমি আর রহস্যে ঘেরা মিসরীয় সভ্যতা। এখনো এর বিভিন্ন দিক নিয়ে পৃথিবীর দেশে দেশে চলছে গবেষণা। আজকের আধুনিক বিজ্ঞানীদের কাছেও পিরামিড এক অজানা রহস্য। সম্প্রতি মিশর ঘোষণা দিয়েছে সে দেশের প্রত্নতাত্ত্বিকরা কয়েক ডজন নতুন মমি এবং ৫৯টি সারকোফ্যাগাস খুঁজে পেয়েছে। চলতি বছর এপর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার। এতে নতুন করে ফের আলোচনায় এসেছে মমি কথন।
পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে একমাত্র পিরামিডই এখনো পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবংশের রাজাদের মমি সমাধিস্থ করা হতো পিরামিডের ভিতরের গোপন কক্ষে। আর রাজার সঙ্গে সমাধিস্থ করা হতো প্রচুর ধনরত্ন, দাস-দাসী।
মিসরীয়দের বিশ্বাস ছিল, তারা মারা যাওয়ার পর যদি তাদের মরদেহ মমিতে পরিণত হয়, তাহলে পরবর্তী জীবন শান্তির হবে। আর সে জন্য তারা চাইতো নিজেকে মমিতে রূপান্তর করে মৃত্যুর পরও ধন-সম্পদের মাঝে ডুবে থাকতে।
প্রচলিত আছে রাজাদের এসব মমির সঙ্গে থাকতো অভিশাপ। তাই যারাই সম্পদের লোভে মমির সন্ধান করেছে তারাই ধ্বংস হয়েছে। তবে এসব অভিশাপের প্রচলতি ধারণা পেছনে ফেলে ধন-দৌলতের লোভে মমির সন্ধান চালাত লোভীরা। অনেককাল আগে থেকেই গুপ্তধনলোভীরা এ মমির সন্ধানে শুরু করে। এতে প্রসিদ্ধ ফারাও রাজাদের মমিগুলো তাদের হস্তগত হলে হারিয়ে যায় বহু পুরোনো ইতিহাস। তবে প্রত্নতাত্বিক গবেষকরাও কিছু মমি আবিষ্কার করেছে। এর মধ্যে একমাত্র অক্ষত মমি উদ্ধার সম্ভব হয়েছে ফারাও রাজা তুতেন খামেনের। তবে এ মমি আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত অনেকেরই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এতে অনেকের মনে অভিশাপের বিষয়টি দাগ কাটে।
১৯২২ সালে ভ্যালি অব দ্য কিংস-এ হাওয়ার্ড কার্টারের নেতৃত্বে একদল খননকারী আবিষ্কার করলেন ফারাও রাজা তুতেন খামেনের মমি। এ মমি আবিষ্কারের পেছনে একটি হলুদ ক্যানারি বা গুপ্তচর পাখির অবদান ছিল। আর মমির অভিশাপের বিষয়টিও তাই হলুদ ক্যানারি পাখিকে দিয়েই শুরু হলো। পরের শিকার লর্ড কারনাভান। যিনি এই খননকার্যে অর্থায়ন করেছিলেন।
এরপরেই তুতেন খামেনের মমির অভিশাপের গল্প যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল, তখন অনেক নামিদামি ব্যক্তি অভিশাপের অস্তিত্বের পক্ষে তাদের মতপ্রকাশ করেন। এদের অন্যতম হলেন স্যার আর্থার কোনান ডায়েল।
লর্ড কারনাভানের মৃত্যুর কিছুদিন পর এ অভিযানের আরেক নেতৃস্থানীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ আর্থার ম্যাক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। কারনাভানের এক বন্ধু তার মৃত্যুর কথা জানতে পেরে মিসরে যান সমাধি দেখতে। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য, সমাধিটি দেখার পর দিনই তিনি প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হলেন। আর এর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তারও মৃত্যু হয়। তখন অনেকেই তুতেন খামেনের সমাধির বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এমনই এক আগ্রহী ব্যক্তির নাম জুয়েল উড। তিনি একজন শিল্পপতি ছিলেন। সমাধিটি ভ্রমণ করে দেশে যাওয়ার পথে জুয়েলও আক্রান্ত হন প্রচণ্ড জ্বরে। এরপর তারও মৃত্যু হয়।
সমাধিটি প্রথম উন্মোচনের সময় যারা উপস্থিত ছিলেন, এর মধ্যে ১২ জনই অস্বাভাবিকভাবে পরবর্তী ৬ বছরের মধ্যে মারা যান। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে খনি খননের কাজে বিভিন্নভাবে জড়িত প্রায় ২১ জন মৃত্যুবরণ করেন। একজনই কেবল রক্ষা পেয়েছিলেন। তিনি প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টার। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে তুতেন খামেনের অভিশাপ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: এবার উদ্ধার হলো সোনার জিভ লাগানো মমি
ভয়েস টিভি/এসএফ
পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে একমাত্র পিরামিডই এখনো পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবংশের রাজাদের মমি সমাধিস্থ করা হতো পিরামিডের ভিতরের গোপন কক্ষে। আর রাজার সঙ্গে সমাধিস্থ করা হতো প্রচুর ধনরত্ন, দাস-দাসী।
মিসরীয়দের বিশ্বাস ছিল, তারা মারা যাওয়ার পর যদি তাদের মরদেহ মমিতে পরিণত হয়, তাহলে পরবর্তী জীবন শান্তির হবে। আর সে জন্য তারা চাইতো নিজেকে মমিতে রূপান্তর করে মৃত্যুর পরও ধন-সম্পদের মাঝে ডুবে থাকতে।
প্রচলিত আছে রাজাদের এসব মমির সঙ্গে থাকতো অভিশাপ। তাই যারাই সম্পদের লোভে মমির সন্ধান করেছে তারাই ধ্বংস হয়েছে। তবে এসব অভিশাপের প্রচলতি ধারণা পেছনে ফেলে ধন-দৌলতের লোভে মমির সন্ধান চালাত লোভীরা। অনেককাল আগে থেকেই গুপ্তধনলোভীরা এ মমির সন্ধানে শুরু করে। এতে প্রসিদ্ধ ফারাও রাজাদের মমিগুলো তাদের হস্তগত হলে হারিয়ে যায় বহু পুরোনো ইতিহাস। তবে প্রত্নতাত্বিক গবেষকরাও কিছু মমি আবিষ্কার করেছে। এর মধ্যে একমাত্র অক্ষত মমি উদ্ধার সম্ভব হয়েছে ফারাও রাজা তুতেন খামেনের। তবে এ মমি আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত অনেকেরই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এতে অনেকের মনে অভিশাপের বিষয়টি দাগ কাটে।
১৯২২ সালে ভ্যালি অব দ্য কিংস-এ হাওয়ার্ড কার্টারের নেতৃত্বে একদল খননকারী আবিষ্কার করলেন ফারাও রাজা তুতেন খামেনের মমি। এ মমি আবিষ্কারের পেছনে একটি হলুদ ক্যানারি বা গুপ্তচর পাখির অবদান ছিল। আর মমির অভিশাপের বিষয়টিও তাই হলুদ ক্যানারি পাখিকে দিয়েই শুরু হলো। পরের শিকার লর্ড কারনাভান। যিনি এই খননকার্যে অর্থায়ন করেছিলেন।
এরপরেই তুতেন খামেনের মমির অভিশাপের গল্প যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল, তখন অনেক নামিদামি ব্যক্তি অভিশাপের অস্তিত্বের পক্ষে তাদের মতপ্রকাশ করেন। এদের অন্যতম হলেন স্যার আর্থার কোনান ডায়েল।
লর্ড কারনাভানের মৃত্যুর কিছুদিন পর এ অভিযানের আরেক নেতৃস্থানীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ আর্থার ম্যাক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। কারনাভানের এক বন্ধু তার মৃত্যুর কথা জানতে পেরে মিসরে যান সমাধি দেখতে। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য, সমাধিটি দেখার পর দিনই তিনি প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হলেন। আর এর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তারও মৃত্যু হয়। তখন অনেকেই তুতেন খামেনের সমাধির বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এমনই এক আগ্রহী ব্যক্তির নাম জুয়েল উড। তিনি একজন শিল্পপতি ছিলেন। সমাধিটি ভ্রমণ করে দেশে যাওয়ার পথে জুয়েলও আক্রান্ত হন প্রচণ্ড জ্বরে। এরপর তারও মৃত্যু হয়।
সমাধিটি প্রথম উন্মোচনের সময় যারা উপস্থিত ছিলেন, এর মধ্যে ১২ জনই অস্বাভাবিকভাবে পরবর্তী ৬ বছরের মধ্যে মারা যান। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে খনি খননের কাজে বিভিন্নভাবে জড়িত প্রায় ২১ জন মৃত্যুবরণ করেন। একজনই কেবল রক্ষা পেয়েছিলেন। তিনি প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টার। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে তুতেন খামেনের অভিশাপ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: এবার উদ্ধার হলো সোনার জিভ লাগানো মমি
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ