‘বড় শক্তিগুলো চাপ দিলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব’


রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকে গণহত্যা হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে যদি বড় শক্তিগুলো চাপ দেয়। আমার বিশ্বাস তারা মিয়ানমারের ওপর এখন আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করবে।
মঙ্গলবার ২২ মার্চ নিজ দফতরে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এই ঘোষণার ফলে আমাদের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গাম্বিয়া ওআইসির পক্ষ থেকে যে মামলাটি পরিচালনা করছে সেটি আরও শক্তিশালী হতে পারে।
ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ মহাপরিচালক পর্যায়ে কয়েকবার আলাপ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমে মিয়ানমার বলেছিল ১১ হাজার নেবে। তারপরে কমিয়ে কমিয়ে সাতশ’র একটি তালিকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় সরকার
মন্ত্রী বলেন, তালিকাটি ত্রুটিপূর্ণ। যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখেছি তালিকায় বাবার নাম আছে কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম নেই। এছাড়া তালিকায় যতজন আছে তাদের পরিবারগুলোকে ভাগ ভাগ করে ফেলেছে। এই বিচ্ছিন্ন করে ফেলার ফলে ওই পরিবারের লোকেরা যাবে বলে মনে হয় না। আমরা জোর করে কাউকে পাঠাবো না।
তিনি বলেন, মিয়ানমার এমনভাবে তালিকাটি তৈরি করেছে যে মনে হয় সদিচ্ছার অভাব আছে, দুরভিসন্ধি আছে। তালিকাটি এত শুভঙ্করের ফাঁকি যে মনে হয় এরা যাতে না যায় সেজন্য করা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি পরিবার ভেঙে ফেলা যাবে না। গ্রামকে ভেঙে ফেলা যাবে না। যে যে গ্রামের অধিবাসী তাদের সেখানে নিয়ে যান। এছাড়া পুরো পরিবার না গেলে কেউ যেতে চাইবে না।
প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনকে শুভেচ্ছা চিঠি দিয়েছে মিয়ানমারের সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে। এছাড়া ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তারা পত্র পাঠিয়েছে। তারা একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।
ভয়েসটিভি/আরকে