হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য: তথ্যমন্ত্রী


বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সর্বশেষ প্রতিবেদন ‘একপেশে, অগ্রহণযোগ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এটি কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয় বলে দাবি তার।
১৪ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এই বিবৃতিটি কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। এটি একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেখানে উল্লিখিত নির্দিষ্ট দু-তিনটি বিষয় ছাড়া মানবাধিকার নিয়ে তাদের আর কিছু জানা আছে বলে মনে হয় না।
একজন লেখক ও রেইন ট্রি হোটেল নিয়ে কিছু ব্যক্তি বিশেষ বিভিন্ন সভা-সমিতিতে প্রায়ই যা বলে থাকেন, বিবৃতিতে সেগুলোই আছে বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটি পড়ে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে হয়ত কেউ ড্রাফট করে দিয়েছে এবং তারা তা পরিমার্জন করে প্রকাশ করেছে মাত্র, এর বেশি কিছু নয়। এ ধরনের সংগঠন থাকা অবশ্যই ভালো, কিন্তু বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি বিশেষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থরক্ষা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিজেদের ব্যবহার করা, বিবৃতি দেওয়া সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, এক্ষেত্রে সেটিই ঘটেছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা গুয়ান্তানামো বে'র বন্দি নির্যাতন কারাগার বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যে দেশে বসে পরিচালিত হয় সেই দেশেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়।’ সেসবের দিকে নজর দিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতি অনুরোধ জানান ড. হাছান মাহমুদ।
‘সরকার ওমিক্রন প্রতিরোধের নামে বিএনপি দমনে বেশি সচেষ্ট’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রন প্রতিরোধে শুধু বিএনপির সমাবেশ বন্ধ রাখতে বলা হয়নি, আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলের জন্যই তা প্রযোজ্য। এখন বিএনপি ওমিক্রন প্রতিরোধ না করে ওমিক্রন বেশি ছড়াতে চায় কি না, সেটিই প্রশ্ন।’
ভয়েসটিভি/আরকে