মালির ছেলে থেকে যেভাবে হলেন বিশ্বের ধনী ফুটবলার


বিশ্বের শীর্ষ ধনী খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারও তিনি। তবে দৈব্যক্রমে এই পর্যায়ে আসেননি সিআরসেভেন।
বিশ্ব ফুটবলের সিংহাসনে আরোহন করতে তাকে পোড়াতে হয়েছে অনেক কাঠখড়।
দরিদ্রতা, ক্ষুধার জ্বালা, মৌলিক অধিকার বঞ্চিতসহ সব প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে এতদূর এসেছেন রোনালদো।
কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে খাঁটি সোনায় পরিণত করেছেন।
তাই তো তার আজ এত দাম।
এই লেখায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ মহাতারকার চলার পথে বিস্তর সংগ্রাম, শিক্ষা, সাফল্যগাঁথা তুলে ধরা হলো-
১৯৮৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্তুগালের ফানছালে জন্মগ্রহণ করেন রোনালদো।
তার বাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো হোসে ছিলেন মালি।
আর মা মারিয়া দোলেরেস অ্যাভেইরো পরের বাড়িতে রান্নাবান্না এবং ধোয়া-মোছার কাজ করতেন।
রোনালদোর পুরো নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দোস সান্তোস অ্যাভেইরো। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের নামানুসারে রাখা হয় তার নাম।
কারণ, বাবা হোসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাঁড় ভক্ত ছিলেন।
শৈশবে রোনালদোকে ‘ক্রাই বেইবি’ নামে ডাকা হতো।
নেপথ্যে রয়েছে হাস্যকর কারণ। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলপাগল ছিলেন তিনি। নিজে গোল করতে এবং বন্ধুদের দিয়ে গোল করাতে ভীষণ পছন্দ করতেন।
খেলার মাঠে নিয়মিত গোলমুখে বন্ধুদের বল বানিয়ে দিতেন।
কিন্তু তারা লক্ষ্যভেদ করতে না পারলে অঝোরে কাঁদতেন পর্তুগিজ যুবরাজ। তাই তাকে ‘ক্রাই বেবি’ বলা হতো।
ক্ষীপ্রগতির কারণে রোনালদোকে ‘লিটল বি’ মানে ছোট মৌমাছি নামেও ডাকতেন লোকজন।
রোনালদোর শিক্ষাজীবন সুখকর ছিল না।
অসদাচরণের কারণে ১৪ বছর বয়সে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কারণ, এক শিক্ষককে চেয়ার ছুড়ে মেরেছিলেন তিনি।
পরে পর্তুগিজ ফুটবলার দাবি করেন, দরিদ্র হওয়ায় ওই শিক্ষক তাকে ভালো চোখে দেখতেন না।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে রোনালদোর হার্টে সমস্যা ধরা পড়ে।
যে কারণে তাকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। ফলে তার ভবিষ্যত নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা।
তবে কোনো বাধাই রোনালদোকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
স্বদেশের ফুটবল ক্লাব স্পোর্টিং পোর্তোতে খেলা অবস্থাতেই বিশ্বের নজর কাড়েন তিনি। ফলে তরুণ বয়সেই ম্যানইউতে ডাক পান।
সেখান থেকে রাতারাতি বনে যান বিশ্ব তারকা। পরে রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস হয়ে ফের তথাকথিত আতুড়ঘরে ফিরেছেন।
ইউরোপের মর্যাদাকর টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো। বর্ণাঢ্য খেলোয়াড়ি জীবনে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন পাঁচবার।
যা কোনো ফুটবলারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড।
ফুটবল দেবী রোনালদোকে দুই হাত ভরে দিয়েছেন।
এই খেলায় সবধরনের পুরস্কার জিতেছেন তিনি। শুধু পাঁচবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারই নির্বাচিত হয়েছেন।
ম্যাচের ১ মিনিটের মাথায় গোল করার কীর্তি রয়েছে মাত্র দুজন ফুটবলারের।
এদের মধ্যে একজন রোনালদো।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের মালিক তিনি। এছাড়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে খেলা ফুটবলারও ক্রিস্টিয়ানো।
প্রভাবশালী মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের তালিকায় ২০১৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার ছিলেন তিনি।
২০২০ সালে তার মোট সম্পদ দেখানো হয় ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছেন রোনালদো। পর্তুগালে সিআরসেভেন নামে আছে একটি জাদুঘর।
সেখানে তার দুর্লভ ছবি, পদক, শিরোপা, জার্সি, বুটসহ রয়েছে অসংখ্য জিনিস।
বিশ্বের চতুর্থ ফটবলার হিসেবে লন্ডনে মাদাম তুসোতে রোনালদোর মোমের মূর্তি রয়েছে।
স্টিভেন জেরার্ড, পেলে ও ডেভিড বেকহামের পর এই নজির স্থাপন করেন তিনি।
এছাড়া তার ওপর কোর্স চালু করেছে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
অসংখ্য সম্মান, খেতাব জিতে বসে থাকেননি রোনালদো।
ধারাবাহিকভাবে অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।
একবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার শিশুদের তহবিলে অর্থায়নে নিজের গোল্ডেন বুট বিক্রি করেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
তিনি সেভ দ্য চিল্ড্রেনের শুভেচ্ছাদূতও।
নিয়মিত রক্তদান করেন রোনালদো।
তার শরীরে কোনো ট্যাটু নেই। তামাকজাত পণ্য এড়িয়ে চলেন সর্বদাই।
এছাড়া অ্যালকোহলও পান করেন না হালের ক্রেজ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
বিশ্ব ফুটবলের সিংহাসনে আরোহন করতে তাকে পোড়াতে হয়েছে অনেক কাঠখড়।
দরিদ্রতা, ক্ষুধার জ্বালা, মৌলিক অধিকার বঞ্চিতসহ সব প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে এতদূর এসেছেন রোনালদো।
কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে খাঁটি সোনায় পরিণত করেছেন।
তাই তো তার আজ এত দাম।
এই লেখায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ মহাতারকার চলার পথে বিস্তর সংগ্রাম, শিক্ষা, সাফল্যগাঁথা তুলে ধরা হলো-
১৯৮৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্তুগালের ফানছালে জন্মগ্রহণ করেন রোনালদো।
তার বাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো হোসে ছিলেন মালি।
আর মা মারিয়া দোলেরেস অ্যাভেইরো পরের বাড়িতে রান্নাবান্না এবং ধোয়া-মোছার কাজ করতেন।
রোনালদোর পুরো নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দোস সান্তোস অ্যাভেইরো। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের নামানুসারে রাখা হয় তার নাম।
কারণ, বাবা হোসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাঁড় ভক্ত ছিলেন।
শৈশবে রোনালদোকে ‘ক্রাই বেইবি’ নামে ডাকা হতো।
নেপথ্যে রয়েছে হাস্যকর কারণ। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলপাগল ছিলেন তিনি। নিজে গোল করতে এবং বন্ধুদের দিয়ে গোল করাতে ভীষণ পছন্দ করতেন।
খেলার মাঠে নিয়মিত গোলমুখে বন্ধুদের বল বানিয়ে দিতেন।
কিন্তু তারা লক্ষ্যভেদ করতে না পারলে অঝোরে কাঁদতেন পর্তুগিজ যুবরাজ। তাই তাকে ‘ক্রাই বেবি’ বলা হতো।
ক্ষীপ্রগতির কারণে রোনালদোকে ‘লিটল বি’ মানে ছোট মৌমাছি নামেও ডাকতেন লোকজন।
রোনালদোর শিক্ষাজীবন সুখকর ছিল না।
অসদাচরণের কারণে ১৪ বছর বয়সে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কারণ, এক শিক্ষককে চেয়ার ছুড়ে মেরেছিলেন তিনি।
পরে পর্তুগিজ ফুটবলার দাবি করেন, দরিদ্র হওয়ায় ওই শিক্ষক তাকে ভালো চোখে দেখতেন না।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে রোনালদোর হার্টে সমস্যা ধরা পড়ে।
যে কারণে তাকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। ফলে তার ভবিষ্যত নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা।
তবে কোনো বাধাই রোনালদোকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
স্বদেশের ফুটবল ক্লাব স্পোর্টিং পোর্তোতে খেলা অবস্থাতেই বিশ্বের নজর কাড়েন তিনি। ফলে তরুণ বয়সেই ম্যানইউতে ডাক পান।
সেখান থেকে রাতারাতি বনে যান বিশ্ব তারকা। পরে রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস হয়ে ফের তথাকথিত আতুড়ঘরে ফিরেছেন।
ইউরোপের মর্যাদাকর টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো। বর্ণাঢ্য খেলোয়াড়ি জীবনে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন পাঁচবার।
যা কোনো ফুটবলারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড।
ফুটবল দেবী রোনালদোকে দুই হাত ভরে দিয়েছেন।
এই খেলায় সবধরনের পুরস্কার জিতেছেন তিনি। শুধু পাঁচবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারই নির্বাচিত হয়েছেন।
ম্যাচের ১ মিনিটের মাথায় গোল করার কীর্তি রয়েছে মাত্র দুজন ফুটবলারের।
এদের মধ্যে একজন রোনালদো।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের মালিক তিনি। এছাড়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে খেলা ফুটবলারও ক্রিস্টিয়ানো।
প্রভাবশালী মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের তালিকায় ২০১৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার ছিলেন তিনি।
২০২০ সালে তার মোট সম্পদ দেখানো হয় ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছেন রোনালদো। পর্তুগালে সিআরসেভেন নামে আছে একটি জাদুঘর।
সেখানে তার দুর্লভ ছবি, পদক, শিরোপা, জার্সি, বুটসহ রয়েছে অসংখ্য জিনিস।
বিশ্বের চতুর্থ ফটবলার হিসেবে লন্ডনে মাদাম তুসোতে রোনালদোর মোমের মূর্তি রয়েছে।
স্টিভেন জেরার্ড, পেলে ও ডেভিড বেকহামের পর এই নজির স্থাপন করেন তিনি।
এছাড়া তার ওপর কোর্স চালু করেছে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
অসংখ্য সম্মান, খেতাব জিতে বসে থাকেননি রোনালদো।
ধারাবাহিকভাবে অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।
একবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার শিশুদের তহবিলে অর্থায়নে নিজের গোল্ডেন বুট বিক্রি করেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
তিনি সেভ দ্য চিল্ড্রেনের শুভেচ্ছাদূতও।
নিয়মিত রক্তদান করেন রোনালদো।
তার শরীরে কোনো ট্যাটু নেই। তামাকজাত পণ্য এড়িয়ে চলেন সর্বদাই।
এছাড়া অ্যালকোহলও পান করেন না হালের ক্রেজ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
সর্বশেষ সংবাদ