কয়েকটি ‘ভূতুরে’ জাহাজ!


বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে রহস্যময় অনেক কিছুই। বিস্তীর্ণ নীল জলের রহস্যও কম নয়। সমুদ্রের অভ্যন্তরে যেমন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তেমনি এর উপরিভাগেও রয়েছে অনকে রহস্য। বিভিন্ন সময় বিশ্বের অনেক সমুদ্রে রহস্যময় ‘ভূতুরে’ জাহাজের দেখা মিলেছে। এসব জাহাজের কোনোটি ভেসে এসেছে উপকূলে। আবার গভীর সাগরে কোনোটির সন্ধান পেয়েছে অন্য জাহাজের নাবিকরা। কোনোটি ছিল জনমানবশূন্য আবার কোনোটিতে মৃতদেহ মিলেছে। আবার এমন জাহাজের সন্ধানও মিলেছে যার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রিস থেকে হাইতি যাচ্ছিল এমভি আলটা নামের একটি জাহাজ। বারমুডা থেকে ১ হাজার ৩৮০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে থাকার সময় এতে গোলযোগ দেখা দেয়। সেটি ঠিক করা সম্ভব না হওয়ায় জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার করে মার্কিন কোস্টগার্ড। তবে জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সেই থেকে সাগরে ভাসছে জাহাজটি। জনশ্রুতি রয়েছে জাহাজটিতে অনেক ভৌতিক কর্মকাণ্ড ঘটছে।
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে ১৬৩ কিলোমিটার দূরে ভেসে আসে কায দ্বিতীয় নামে একটি জাহাজ। এতে থাকা তিন নাবিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর তাদের হারিয়ে যাওয়ার রহস্য এখনও জানা যায়নি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানের উপকূলে অনেকগুলো ‘ভূতুরে’ জাহাজের সন্ধান পাওয়া যায়। এর বেশিরভাগই উত্তর কোরিয়ার বলে জানা গেছে। এর মধ্যে কিছু জাহাজে মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আর কয়েকটি থেকে জীবিত অবস্থায় নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। একেবারে কেউ ছিল না, এমন জাহাজও পাওয়া গেছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ‘ডিফেক্টর’ ছাড়া সাধারণ জেলেরাও ছিলেন।
২০১১ সালের মার্চে সুনামির সময় জাপানের হাচিনোয়ে বন্দরে বাঁধা থাকা দ্য রু-উন মারু নামে মাছ ধরা নৌকাটি ছুটে যায়। এরপর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি সাগরে ভাসতে থাকে। এতে কোনো জনমানব না থাকায় বিভিন্ন অবাস্তব দৃশ্য দেখা যেত জাহাজটিতে। পরে ২০১২ সালের এপ্রিলে আলাস্কার কাছে বিস্ফোরক দিয়ে নৌকাটি ডুবিয়ে দেয় মার্কিন কোস্টগার্ড।
আরও পড়ুন: দ্রুত আগুন নেভাতে যত বিস্ময়কর আবিষ্কার
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমার নৌবাহিনী দ্য স্যাম রাতাওলাঙ্গি পিবি১৬০০ নামে একটি কার্গো সাগরে ভেসে থাকতে দেখে। পরে জানা যায়, ১৭৭ মিটার দীর্ঘ কার্গোটি ইন্দোনেশিয়ার। ভাঙার জন্য এটি বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে খারাপ আবহাওয়ার কারণে টাগবোটের সঙ্গে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই কার্গোতে থাকা ১৩ জন নাবিক একসময় সেখান থেকে নিরাপদে সরে যান। আর সেটি পড়ে থাকে জনশূন্য হয়ে।
সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার তৈরি ১০০ মিটার দীর্ঘ এমভি লুবভ অরলোভা নামে একটি জাহাজিভাঙার জন্য নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে ডমিনিকান রিপাবলিকানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যাত্রা শুরুর একদিন পরই টাগবোটের সঙ্গে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে জাহাজটি।
আরও পড়ুন: জমেছে বরুন-সারার কেমিস্ট্রি
ভয়েস টিভি/এসএফ
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রিস থেকে হাইতি যাচ্ছিল এমভি আলটা নামের একটি জাহাজ। বারমুডা থেকে ১ হাজার ৩৮০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে থাকার সময় এতে গোলযোগ দেখা দেয়। সেটি ঠিক করা সম্ভব না হওয়ায় জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার করে মার্কিন কোস্টগার্ড। তবে জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সেই থেকে সাগরে ভাসছে জাহাজটি। জনশ্রুতি রয়েছে জাহাজটিতে অনেক ভৌতিক কর্মকাণ্ড ঘটছে।
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে ১৬৩ কিলোমিটার দূরে ভেসে আসে কায দ্বিতীয় নামে একটি জাহাজ। এতে থাকা তিন নাবিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর তাদের হারিয়ে যাওয়ার রহস্য এখনও জানা যায়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানের উপকূলে অনেকগুলো ‘ভূতুরে’ জাহাজের সন্ধান পাওয়া যায়। এর বেশিরভাগই উত্তর কোরিয়ার বলে জানা গেছে। এর মধ্যে কিছু জাহাজে মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আর কয়েকটি থেকে জীবিত অবস্থায় নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। একেবারে কেউ ছিল না, এমন জাহাজও পাওয়া গেছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ‘ডিফেক্টর’ ছাড়া সাধারণ জেলেরাও ছিলেন।
২০১১ সালের মার্চে সুনামির সময় জাপানের হাচিনোয়ে বন্দরে বাঁধা থাকা দ্য রু-উন মারু নামে মাছ ধরা নৌকাটি ছুটে যায়। এরপর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি সাগরে ভাসতে থাকে। এতে কোনো জনমানব না থাকায় বিভিন্ন অবাস্তব দৃশ্য দেখা যেত জাহাজটিতে। পরে ২০১২ সালের এপ্রিলে আলাস্কার কাছে বিস্ফোরক দিয়ে নৌকাটি ডুবিয়ে দেয় মার্কিন কোস্টগার্ড।
আরও পড়ুন: দ্রুত আগুন নেভাতে যত বিস্ময়কর আবিষ্কার
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমার নৌবাহিনী দ্য স্যাম রাতাওলাঙ্গি পিবি১৬০০ নামে একটি কার্গো সাগরে ভেসে থাকতে দেখে। পরে জানা যায়, ১৭৭ মিটার দীর্ঘ কার্গোটি ইন্দোনেশিয়ার। ভাঙার জন্য এটি বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে খারাপ আবহাওয়ার কারণে টাগবোটের সঙ্গে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই কার্গোতে থাকা ১৩ জন নাবিক একসময় সেখান থেকে নিরাপদে সরে যান। আর সেটি পড়ে থাকে জনশূন্য হয়ে।

সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার তৈরি ১০০ মিটার দীর্ঘ এমভি লুবভ অরলোভা নামে একটি জাহাজিভাঙার জন্য নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে ডমিনিকান রিপাবলিকানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যাত্রা শুরুর একদিন পরই টাগবোটের সঙ্গে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে জাহাজটি।
আরও পড়ুন: জমেছে বরুন-সারার কেমিস্ট্রি
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ