অদৃশ্য ছিলো রাজনৈতিক কার্যক্রম


বছরের শুরুতেই অদৃশ্য এক শত্রুর মুখোমুখি হয়েছিলো গোটা বিশ্ব। তার ঢেউ এসে লেগেছিলো বাংলাদেশেও। করোনা ভাইরাসের এই কারণে লকাডাউনে বন্দি হয় সবকিছু। ব্যবসা বাণিজ্য, স্কুল কলেজ বাজারঘাট সবকিছুতেই নামে নিস্তব্ধতা। রাস্তাঘাট ফাঁকা ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছানো এমন চিত্র। রাজনীতি অর্থনীতি ছাপিয়ে সবকিছুতে করোনা আর মানবিকতা জয়গান।
মিছিল, সমাবেশ, হাত মেলানোর মতো জনসংযোগের চেনা দৃশ্যগুলো হয়ে যায় উধাও।মার্চ থেকে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর অবরুদ্ধ অবস্থায় যে কোনো সমাবেশের উপর আসে নিষেধাজ্ঞা।
ওই সময়টাতে রাজনৈতিক নেতাদের কাজ ঘরে থেকে বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে সঙ্কটে পড়া মানুষের সহায়তায় বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মীদের তৎপরতা ছিল। নেতাদের রাজপথ ছেড়ে সভা-ওয়েবিনার নিয়ে ভার্চুয়াল জগতেই বেশি সময় কাটাতে দেখা গেছে।
বছরের মাঝামাঝিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পর সরব হয়েছিল বাম দলগুলো, তবে তা মিছিল-সমাবেশ-মানববন্ধনেই সীমিত ছিল।
ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনেও সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বাম দলগুলো। এর সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরাও যুক্ত হতে থাকে। তবে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান সরকার করার পর সেই আন্দোলনও স্তিমিত হয়ে আসে।
বেশ কয়েক বছর পর হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ইসলামী দলগুলো হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রকাশ নিয়ে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভে নেমে রাজপথে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিল।
জুন মাসে অবরুদ্ধ অবস্থার বিধি-নিষেধ শিথিল হলে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়তে থাকলেও তা চেনা দৃশ্যে ফেরেনি। মোটামুটি সব রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ঘরোয়া সভা, এর বাইরে কয়েকটি মানববন্ধনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
শীতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় রাজনীতির মাঠ স্বাভাবিকে কবে ফিরবে, তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি।
এর কিছুদিন পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণের দাবি তুলে হেফাজত বছরের শেষ ভাগে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত করে।
পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিতে থাকে হেফাজত এবং সরকারি দলের মন্ত্রী এমপিরা।
ঘরোয়া তৎপরতার মধ্যেও ভাঙন ধরেছে দুই রাজনৈতিক দল গণফোরাম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডিতে। হেফাজতেও বাজছে ভাঙনের সুর।
বছরের শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংরক্ষণ পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা তেমন চমক দেখাতে পারেনি। দুএকটি সেমিনার বিক্ষোভ এবং বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তাদের কার্যক্রম।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ
মিছিল, সমাবেশ, হাত মেলানোর মতো জনসংযোগের চেনা দৃশ্যগুলো হয়ে যায় উধাও।মার্চ থেকে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর অবরুদ্ধ অবস্থায় যে কোনো সমাবেশের উপর আসে নিষেধাজ্ঞা।
ওই সময়টাতে রাজনৈতিক নেতাদের কাজ ঘরে থেকে বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে সঙ্কটে পড়া মানুষের সহায়তায় বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মীদের তৎপরতা ছিল। নেতাদের রাজপথ ছেড়ে সভা-ওয়েবিনার নিয়ে ভার্চুয়াল জগতেই বেশি সময় কাটাতে দেখা গেছে।
বছরের মাঝামাঝিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পর সরব হয়েছিল বাম দলগুলো, তবে তা মিছিল-সমাবেশ-মানববন্ধনেই সীমিত ছিল।
ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনেও সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বাম দলগুলো। এর সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরাও যুক্ত হতে থাকে। তবে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান সরকার করার পর সেই আন্দোলনও স্তিমিত হয়ে আসে।
বেশ কয়েক বছর পর হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ইসলামী দলগুলো হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রকাশ নিয়ে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভে নেমে রাজপথে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিল।
জুন মাসে অবরুদ্ধ অবস্থার বিধি-নিষেধ শিথিল হলে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়তে থাকলেও তা চেনা দৃশ্যে ফেরেনি। মোটামুটি সব রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ঘরোয়া সভা, এর বাইরে কয়েকটি মানববন্ধনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
শীতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় রাজনীতির মাঠ স্বাভাবিকে কবে ফিরবে, তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি।
এর কিছুদিন পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণের দাবি তুলে হেফাজত বছরের শেষ ভাগে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত করে।
পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিতে থাকে হেফাজত এবং সরকারি দলের মন্ত্রী এমপিরা।
ঘরোয়া তৎপরতার মধ্যেও ভাঙন ধরেছে দুই রাজনৈতিক দল গণফোরাম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডিতে। হেফাজতেও বাজছে ভাঙনের সুর।
বছরের শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংরক্ষণ পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা তেমন চমক দেখাতে পারেনি। দুএকটি সেমিনার বিক্ষোভ এবং বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তাদের কার্যক্রম।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ
সর্বশেষ সংবাদ