ময়মনসিংহে ২৭৫০ শীতার্ত পেল উষ্ণতার পরশ


শীত এবারও এসেছে ছিন্নমূল মানুষের জন্য অভিশাপের বার্তা নিয়ে। পরিবারের মুখে আহার দিতে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। এসব শীতার্ত অসহায় মানুষদের খুঁজে বের করে শীতবস্ত্র বিতরণ করার পাশাপাশি শিশুদের শীতের পোশাক উপহার দিচ্ছে একদল তরুণ। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৫০ জন শীতার্ত মানুষের মুখে আনন্দের হাসি ফুটিয়েছে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নের অসহায় শীতার্তদের তালিকা করে শীতবস্ত্র দেয়া হচ্ছে। বাসমাহ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই মানবিক কাজটি বাস্তবায়ন করছে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা। এ কাজে সবমহলে ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তারা। মানবিক কাজটি স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পেরে খুশি স্বেচ্ছাসেবকরাও।
স্বেচ্ছাসেবক আরিফুর ইসলাম নামের একজন বলেন, একেবারে ছিন্নমূল মানুষদের আমরা খুঁজে বের করে একটির কম্বল উপহার দিচ্ছি। তবে এসব পরিবারের আর্থিক সমস্যার কারণে নিজের সন্তানদের শীতের পোশাক কিনে দিতে পারে না। ফলে শীত এলেই চরম বিপাকে পড়ে শিশুরা। আর তাই শিশুদের জন্য শীতের পোশাকও উপহার দিচ্ছি। এতে শীত নিবারণের পাশাপাশি নতুন জামা পেয়ে শিশুরাও আনন্দে মেতে উঠছে।
এক বৃদ্ধার কম্বল পেয়ে আনন্দের কথা জানান স্বেচ্ছাসেবক জুনায়েদ সুয়েব। তিনি জানান, ‘চাঁচি কাঁদেন কেন? কাদি নারে বাবা, আনন্দে চোখ দিয়া পানি গড়াইয়া পড়ছে। রাত অইলে শীতে ঘুমাইবার পারি না। এহন পর্যন্ত কেউ একটা কম্বল দিল না। আর তুমরা কম্বলের লগে পুলাপাইনরে শীত নিবারণের জন্য জামা দিতাছো। তাই খুশিতে চোখ দিয়া পানি আইছে। আল্লাহ তুমাগোর মঙ্গল করুক। এই বলে চোখের পানি মুছতে থাকেন ৭ নম্বর চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের অসহায় বয়োবৃদ্ধ কুলসুম বেগম।’
৭ নম্বর চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম রতন বলেন, আমরা যতদূর পারি অসহায়, দিনমজুর, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সহায়তা করছি। তবে ভালো লাগে যখন দেখি নিজ উদ্যোগে তরুণরা অসহায়দের কল্যাণে কাজ করছে। স্বেচ্ছাসেবীরা আমার ইউনিয়নে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল আর শিশুদের শীতের জামা দেয়ার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। গ্রামে ঘুরে ঘুরে তালিকা করে এগুলো বিতরণ করেছে। পরিশ্রম করে আনন্দের সঙ্গে কাজগুলো করছে এসব তরুণরা। এরা প্রশংসার দাবিদার ও গর্বিত মায়ের সন্তান। কারণ মানবিক কাজগুলো সবাই করতে পারে না।’
এ বিষয়ে বাসমাহ ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, শীতের শুরু থেকেই প্রতিবছর সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দুঃশ্চিন্তার সীমা থাকে না। দিনে কোনোরকমে থাকতে পারলেও রাতে শীত নিবারণের কিছু না থাকার কারণে কষ্ট করতে হয়। আর রাস্তায় কিংবা ফুটপাতে ভাসমান অবস্থায় থাকা অসহায় মানুষগুলো বিত্তবানদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এ সময়টাতে পথশিশু ও গ্রামাঞ্চলের গরিব পরিবারের শিশুরাও শীতের জামা না থাকার কারণে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। আর তাই বাসমাহ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আমরা সহানুভূতির হাত বাড়িয়েছি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে ভোগান্তি ছিন্নমূল মানুষের
ভয়েস টিভি/এসএফ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নের অসহায় শীতার্তদের তালিকা করে শীতবস্ত্র দেয়া হচ্ছে। বাসমাহ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই মানবিক কাজটি বাস্তবায়ন করছে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা। এ কাজে সবমহলে ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তারা। মানবিক কাজটি স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পেরে খুশি স্বেচ্ছাসেবকরাও।

স্বেচ্ছাসেবক আরিফুর ইসলাম নামের একজন বলেন, একেবারে ছিন্নমূল মানুষদের আমরা খুঁজে বের করে একটির কম্বল উপহার দিচ্ছি। তবে এসব পরিবারের আর্থিক সমস্যার কারণে নিজের সন্তানদের শীতের পোশাক কিনে দিতে পারে না। ফলে শীত এলেই চরম বিপাকে পড়ে শিশুরা। আর তাই শিশুদের জন্য শীতের পোশাকও উপহার দিচ্ছি। এতে শীত নিবারণের পাশাপাশি নতুন জামা পেয়ে শিশুরাও আনন্দে মেতে উঠছে।
এক বৃদ্ধার কম্বল পেয়ে আনন্দের কথা জানান স্বেচ্ছাসেবক জুনায়েদ সুয়েব। তিনি জানান, ‘চাঁচি কাঁদেন কেন? কাদি নারে বাবা, আনন্দে চোখ দিয়া পানি গড়াইয়া পড়ছে। রাত অইলে শীতে ঘুমাইবার পারি না। এহন পর্যন্ত কেউ একটা কম্বল দিল না। আর তুমরা কম্বলের লগে পুলাপাইনরে শীত নিবারণের জন্য জামা দিতাছো। তাই খুশিতে চোখ দিয়া পানি আইছে। আল্লাহ তুমাগোর মঙ্গল করুক। এই বলে চোখের পানি মুছতে থাকেন ৭ নম্বর চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের অসহায় বয়োবৃদ্ধ কুলসুম বেগম।’
৭ নম্বর চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম রতন বলেন, আমরা যতদূর পারি অসহায়, দিনমজুর, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সহায়তা করছি। তবে ভালো লাগে যখন দেখি নিজ উদ্যোগে তরুণরা অসহায়দের কল্যাণে কাজ করছে। স্বেচ্ছাসেবীরা আমার ইউনিয়নে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল আর শিশুদের শীতের জামা দেয়ার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। গ্রামে ঘুরে ঘুরে তালিকা করে এগুলো বিতরণ করেছে। পরিশ্রম করে আনন্দের সঙ্গে কাজগুলো করছে এসব তরুণরা। এরা প্রশংসার দাবিদার ও গর্বিত মায়ের সন্তান। কারণ মানবিক কাজগুলো সবাই করতে পারে না।’

এ বিষয়ে বাসমাহ ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, শীতের শুরু থেকেই প্রতিবছর সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দুঃশ্চিন্তার সীমা থাকে না। দিনে কোনোরকমে থাকতে পারলেও রাতে শীত নিবারণের কিছু না থাকার কারণে কষ্ট করতে হয়। আর রাস্তায় কিংবা ফুটপাতে ভাসমান অবস্থায় থাকা অসহায় মানুষগুলো বিত্তবানদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এ সময়টাতে পথশিশু ও গ্রামাঞ্চলের গরিব পরিবারের শিশুরাও শীতের জামা না থাকার কারণে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। আর তাই বাসমাহ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আমরা সহানুভূতির হাত বাড়িয়েছি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে ভোগান্তি ছিন্নমূল মানুষের
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ