বয়স স্বল্পতায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারছে না অসংখ্য শিক্ষার্থী


বয়স ১১ বছরের বেশি হয়নি তাই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনই করতে পারছেন না অসংখ্য শিক্ষার্থী। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অভিভাবকরা ছুটছেন শিক্ষা অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দফতরে। বয়স স্বল্পতার কারণে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছে গোপালগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করা অসংখ্য শিক্ষার্থী।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ শিক্ষাবর্ষে গোপালগঞ্জ জেলায় পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর সব শিক্ষার্থীকেই পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়েছে।
জেলা শহরের এস এম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া খানম জানিয়েছেন, এ বছর তার প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৯৯ শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেণি শেষ করেছে। এদের অধিকাংশেরই বয়স ১১ বছরের বেশি না হওয়ায় অনলাইন আবেদন গৃহীত হয়নি। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশুনায় ধারাবাহিকতা ব্যাহত হতে পারে।
শহরের বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর গোপালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম গোপালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালেকা একাডেমি এবং অনির্বাণ স্কুলসহ জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খবর নিয়ে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই একই সমস্যায় পড়েছে।
জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) দেশের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন ও এসএমএস’র মাধ্যমে ভর্তির আবেদন ও ফি প্রদান সংক্রান্ত নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। কিন্তু সে আবেদনে ন্যূনতম বয়সসীমা ১১+ নির্ধারিত থাকায় বয়স স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই আবেদন গৃহীত হয়নি। এদিকে ভর্তির সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা অবধি। ৩০ ডিসেম্বর অনলাইন লটারির মাধ্যমে জানা যাবে কে কোন স্কুলে ভর্তি হতে পারবে।
তাই এ অবস্থায় শুধু অভিভাবকরাই নয়, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরাও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। বয়স-স্বল্পতায় ভর্তির সুযোগ-বঞ্চিত হয়ে একটি বছর বসে থেকে এসব শিশু-শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনার ধারাবাহিকতা কতটুকু ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সংশয়।
গোপালগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী জানান, জাতীয় শিক্ষানীতি- ২০১০ (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৬ বছরের বেশি। সে অনুযায়ী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে ন্যূনতম ১১ বছর ১দিন বয়স হতে হবে। বয়স-স্বল্পতার কারণে অনেকে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে না জেনে তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু সরকারি পরিপত্রের কোনো ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই বলে তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা; শিক্ষক পলাতক
ভয়েস টিভি/এসএফ
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ শিক্ষাবর্ষে গোপালগঞ্জ জেলায় পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর সব শিক্ষার্থীকেই পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়েছে।
জেলা শহরের এস এম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া খানম জানিয়েছেন, এ বছর তার প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৯৯ শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেণি শেষ করেছে। এদের অধিকাংশেরই বয়স ১১ বছরের বেশি না হওয়ায় অনলাইন আবেদন গৃহীত হয়নি। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশুনায় ধারাবাহিকতা ব্যাহত হতে পারে।
শহরের বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর গোপালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম গোপালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালেকা একাডেমি এবং অনির্বাণ স্কুলসহ জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খবর নিয়ে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই একই সমস্যায় পড়েছে।
জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) দেশের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন ও এসএমএস’র মাধ্যমে ভর্তির আবেদন ও ফি প্রদান সংক্রান্ত নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। কিন্তু সে আবেদনে ন্যূনতম বয়সসীমা ১১+ নির্ধারিত থাকায় বয়স স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই আবেদন গৃহীত হয়নি। এদিকে ভর্তির সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা অবধি। ৩০ ডিসেম্বর অনলাইন লটারির মাধ্যমে জানা যাবে কে কোন স্কুলে ভর্তি হতে পারবে।
তাই এ অবস্থায় শুধু অভিভাবকরাই নয়, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরাও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। বয়স-স্বল্পতায় ভর্তির সুযোগ-বঞ্চিত হয়ে একটি বছর বসে থেকে এসব শিশু-শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনার ধারাবাহিকতা কতটুকু ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সংশয়।
গোপালগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী জানান, জাতীয় শিক্ষানীতি- ২০১০ (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৬ বছরের বেশি। সে অনুযায়ী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে ন্যূনতম ১১ বছর ১দিন বয়স হতে হবে। বয়স-স্বল্পতার কারণে অনেকে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে না জেনে তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু সরকারি পরিপত্রের কোনো ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই বলে তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা; শিক্ষক পলাতক
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ