সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না ১১ কোটি টাকার সেতু


নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার অ্যাড়েন্দা-মানিকগঞ্জ সড়কের গণ্ডব এলাকায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। নির্মানের পরও সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুটি চালু না হওয়ায় দূর্ভোগের শেষ নেই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৩২টি গ্রামের অন্তত এক লাখ মানুষ। সেতু দিয়ে চলাচলের উপযোগী করতে দ্রুত সংশ্লিষ্ঠদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
এলজিইডি সুত্রে জানা গেছে, জনগণের চাহিদার প্রেক্ষিতে গণ্ডব এলাকায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭৫.২০ মিটার দৈর্ঘের সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২ মে ২০১৬ সালে চুক্তি অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যার্থ হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
পরে সংশোধিত চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করার জন্যে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ১ মে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেই সময় লিখত আবেদনের প্রেক্ষিতে কাজের মেয়াদ বৃদ্দির জন্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয় নড়াইল এলজিইডি বিভাগ। তবে তার জবাব এখনও আসেনি।
এভাবে দেড় বছরের কাজ নানা জটিলতায় পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেতুটির মূল কাজ শেষ হলেও দুপাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে ব্যার্থ হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা থেকে সেতুটির উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। সংযোগ সড়ক না থাকায় ইঞ্জিনচালিত কোনো যানবহনই সেতু দিয়ে যেতে পারে না। বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান ইত্যাদি ঠেলে সেতুতে উঠতে হয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জানায়, সেতুটির মূল কাজ শেষ হয়েছে । দুই পাশের ২৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে বাকি। কিন্তু সেতুটির দক্ষিন পাশের ১২৫ মিটার এলকায় স্থানীয় কয়েকজন জমির মালিকানা দাবি করে কাজে বাঁধা দেয়। এজন্যে সংযোগ সড়ক নির্মাণ সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি চালু হলে উপকৃত হবে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নবাসী। উপজেলার সর্ববৃহৎ দুটি বাজারের সঙ্গে ব্যাবসায়ীসহ এলকাবাসীর যোগাযোগ সহজ হবে। এতে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটবে। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজে ও দ্রুত বাজারজাত করতে পারবে।
মানিকগঞ্জ বাজারের ব্যাসসায়ী কিবরিয়া বলেন, কৃষকরা প্রতিনিয়ত মানিকগঞ্জ বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অ্যাড়েন্দা হাটে যায়। কিন্তু মাঝ পথে গণ্ডব এলাকায় সেতু না থাকায় তাদেরকে ১৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে লোহাগড়া হয়ে যেতে হয়। এতে তাদের পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যায়। সেতুটি কাজ শেষ হলে তাদের আর এত পথ ঘোরা লাগবে না।
নড়াইল জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র সোমদ্দার বলেন, দ্রুত সেতুটির সুফল পাবে এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন : নদী ভাঙনে দিশেহারা নড়াইলের মানুষ
ভয়েস টিভি/এমএইচ
এলজিইডি সুত্রে জানা গেছে, জনগণের চাহিদার প্রেক্ষিতে গণ্ডব এলাকায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭৫.২০ মিটার দৈর্ঘের সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২ মে ২০১৬ সালে চুক্তি অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যার্থ হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
পরে সংশোধিত চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করার জন্যে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ১ মে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেই সময় লিখত আবেদনের প্রেক্ষিতে কাজের মেয়াদ বৃদ্দির জন্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয় নড়াইল এলজিইডি বিভাগ। তবে তার জবাব এখনও আসেনি।

এভাবে দেড় বছরের কাজ নানা জটিলতায় পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেতুটির মূল কাজ শেষ হলেও দুপাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে ব্যার্থ হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা থেকে সেতুটির উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। সংযোগ সড়ক না থাকায় ইঞ্জিনচালিত কোনো যানবহনই সেতু দিয়ে যেতে পারে না। বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান ইত্যাদি ঠেলে সেতুতে উঠতে হয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জানায়, সেতুটির মূল কাজ শেষ হয়েছে । দুই পাশের ২৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে বাকি। কিন্তু সেতুটির দক্ষিন পাশের ১২৫ মিটার এলকায় স্থানীয় কয়েকজন জমির মালিকানা দাবি করে কাজে বাঁধা দেয়। এজন্যে সংযোগ সড়ক নির্মাণ সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, সেতুটি চালু হলে উপকৃত হবে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নবাসী। উপজেলার সর্ববৃহৎ দুটি বাজারের সঙ্গে ব্যাবসায়ীসহ এলকাবাসীর যোগাযোগ সহজ হবে। এতে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটবে। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজে ও দ্রুত বাজারজাত করতে পারবে।
মানিকগঞ্জ বাজারের ব্যাসসায়ী কিবরিয়া বলেন, কৃষকরা প্রতিনিয়ত মানিকগঞ্জ বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অ্যাড়েন্দা হাটে যায়। কিন্তু মাঝ পথে গণ্ডব এলাকায় সেতু না থাকায় তাদেরকে ১৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে লোহাগড়া হয়ে যেতে হয়। এতে তাদের পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যায়। সেতুটি কাজ শেষ হলে তাদের আর এত পথ ঘোরা লাগবে না।
নড়াইল জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র সোমদ্দার বলেন, দ্রুত সেতুটির সুফল পাবে এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন : নদী ভাঙনে দিশেহারা নড়াইলের মানুষ
ভয়েস টিভি/এমএইচ
সর্বশেষ সংবাদ