নড়াইল হাসপাতালের ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক


নড়াইল সদর হাসপাতালের সেবাগ্রহীতাদের ফি বাবদ প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভয়েস টিভি অনলাইনে খবর প্রকাশের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে দুদক। এদিকে ঘটনাটি নিয়ে নড়াইল শহরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। অধিকংশের মন্তব্য, শুধু হিসাবরক্ষকের পক্ষে এত বড় জালিয়াতি করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জাড়িত থাকতে পারেন।
দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ‘একই ধরনের ঘটনায় ওই হাসপাতালের আগের হিসাবরক্ষক মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা আছে। এবারের বিষয় নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। দুদকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
গণমাধ্যমে সংবাদ হওয়ার পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় হাসপাতালে গিয়ে এর খোঁজখবর নেন। সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা ফোনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন সব টাকা দ্রুত জমা দেয়ার ব্যবস্থা করতে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, খোঁজখবর নিয়েছি। নিবিড়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। দুদক থেকেও আমার সঙ্গে কথা বলেছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় সূত্র জানায়, সেবা গ্রহীতাদের নিকট থেকে হাসপাতালে বিভিন্ন সেবা বাবদ ফি নেয়া হয়। এসব ফি নড়াইল সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় জমা হওয়ার কথা। এ বাবদ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়া হয়নি। কিন্তু টাকা জমার জাল চালান কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হিসাবরক্ষক জাহানারা খানমকে (লাকি) কারণ দর্শানো হয়েছে। তাকে সেবা ফি গ্রহণের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রধান সহকারী মঞ্জুরুল আলমকে ওই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ঘটনা যাচাই করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে ভয়েস টিভি আনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নড়াইল শহরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আলোচকদের মন্তব্যের তীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তাদের মন্তব্য, এর দায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এড়াতে পারেন না। তারা কেন এতদিনে এটি দেখলেন না।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার হিসাবরক্ষক জাহানারা খানমের (লাকি) সঙ্গে হাসপতালে কথা হয়। তিনি বারবার বলছিলেন, ‘এক হাতে তালি বাজে না। এর চেয়ে বেশি এখন কিছু বলব না।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুস শাকুর বলেন, ‘হিসাবরক্ষক জাহানারা খানম ওই টাকা জমা দেননি। তিনি জমা দেয়ার জাল চালান তৈরি করে অফিসে সংরক্ষণ করেছেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে গত মঙ্গলবার ব্যাংকে গিয়ে যাচাই করে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এটি জমা দেয়ার দায়িত্ব তার। আমার কাছ থেকে জমা দেয়ার আগে চালানে শুধু স্বাক্ষর নিয়ে নেন তিনি। এর দায় তার।’
নড়াইল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আবু সেলিম জানান, ব্যাংকে ওই সময়ে এ বাবদ কোনো টাকা জমা হয়নি। যে চালান সংরক্ষণ করা হয়েছে সেগুলো জাল। ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে জমা চালান তৈরি করা হয়েছে।’
ভয়েস টিভি/এসএফ
দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ‘একই ধরনের ঘটনায় ওই হাসপাতালের আগের হিসাবরক্ষক মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা আছে। এবারের বিষয় নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। দুদকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
গণমাধ্যমে সংবাদ হওয়ার পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় হাসপাতালে গিয়ে এর খোঁজখবর নেন। সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা ফোনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন সব টাকা দ্রুত জমা দেয়ার ব্যবস্থা করতে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, খোঁজখবর নিয়েছি। নিবিড়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। দুদক থেকেও আমার সঙ্গে কথা বলেছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় সূত্র জানায়, সেবা গ্রহীতাদের নিকট থেকে হাসপাতালে বিভিন্ন সেবা বাবদ ফি নেয়া হয়। এসব ফি নড়াইল সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় জমা হওয়ার কথা। এ বাবদ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়া হয়নি। কিন্তু টাকা জমার জাল চালান কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হিসাবরক্ষক জাহানারা খানমকে (লাকি) কারণ দর্শানো হয়েছে। তাকে সেবা ফি গ্রহণের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রধান সহকারী মঞ্জুরুল আলমকে ওই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ঘটনা যাচাই করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে ভয়েস টিভি আনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নড়াইল শহরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আলোচকদের মন্তব্যের তীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তাদের মন্তব্য, এর দায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এড়াতে পারেন না। তারা কেন এতদিনে এটি দেখলেন না।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার হিসাবরক্ষক জাহানারা খানমের (লাকি) সঙ্গে হাসপতালে কথা হয়। তিনি বারবার বলছিলেন, ‘এক হাতে তালি বাজে না। এর চেয়ে বেশি এখন কিছু বলব না।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুস শাকুর বলেন, ‘হিসাবরক্ষক জাহানারা খানম ওই টাকা জমা দেননি। তিনি জমা দেয়ার জাল চালান তৈরি করে অফিসে সংরক্ষণ করেছেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে গত মঙ্গলবার ব্যাংকে গিয়ে যাচাই করে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এটি জমা দেয়ার দায়িত্ব তার। আমার কাছ থেকে জমা দেয়ার আগে চালানে শুধু স্বাক্ষর নিয়ে নেন তিনি। এর দায় তার।’
নড়াইল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আবু সেলিম জানান, ব্যাংকে ওই সময়ে এ বাবদ কোনো টাকা জমা হয়নি। যে চালান সংরক্ষণ করা হয়েছে সেগুলো জাল। ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে জমা চালান তৈরি করা হয়েছে।’
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ