হিজাব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, তসলিমাকে ঘৃণার প্রতীক বললেন ওয়াইসি


কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কে উত্তাল ভারত। এনিয়ে ১৭ ফেব্ররুয়ারি বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছিলেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তার বিস্ফোরক মন্তব্য, হিজাব হলো সতীত্বের পাহারাদারি করা পোশাক। যা মনে করিয়ে দেয়, মেয়েরা আসলে সম্ভোগের বস্তু। তসলিমার এমন মন্তব্যের পর তাকে ‘ঘৃণার প্রতীক’ বলে অভিহিত করেছেন ভারতের এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওয়াইসি। তিনি বলেন, ”আমি এমন কোনও মানুষকে উত্তর দিতে চাই না যিনি ঘৃণার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। এমন কোনও মানুষকে উত্তর দেব না যাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল এবং যিনি ভারতে পড়ে রয়েছেন নিজের দেশে আত্মরক্ষা করতে না পেরে। তাই আমি এখানে বসে তাকে নিয়ে কোনও আলোচনা করব না।”
হিজাব বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ভারতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ হবে কি না তা নিয়ে মামলা চলছে কর্ণাটক হাইকোর্টে। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার স্পষ্টবক্তা তসলিমা নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। তিনি বলেন, “একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের পোশাক হওয়া উচিত ধর্মীয় ভেদাভেদহীন। শিক্ষকরা যে পড়ুয়াদের ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুল-কলেজে আসতে বারণ করছেন, এর মধ্যে কোনও ভুল নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মচর্চা তথা ব্যক্তিগত ভাবাবেগ অনুশীলনের জায়গা নয়।” তসলিমা আরও বলেন, “বরং স্কুলে শেখানো হয় নাগরিকের অধিকার, লিঙ্গসাম্য, মানবিকতা, আধুনিক মনস্কতা, বিজ্ঞান ভাবনা ইত্যাদি।”
সাক্ষাৎকারে তসলিমা নাসরিন দাবি করেন, হিজাব, বোরখা বা নিকাব নারী নিপীড়নের প্রতীক। তার মতে, “হিজাব, বোরখা, নিকাব আসলে দেগে দেয় যে মেয়েরা যৌন বস্তু ছাড়া কিছু নয়। পুরুষদের থেকে মেয়েদের লুকিয়ে রাখা দরকার, নচেৎ তারা পুরুষের যৌন আসক্তির শিকার হবে, এই ভাবনা খুবই নিন্দনীয়। এই মনোভাবের দ্রুত অবসান হওয়া উচিত।”
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওয়াইসি। তিনি বলেন, ”আমি এমন কোনও মানুষকে উত্তর দিতে চাই না যিনি ঘৃণার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। এমন কোনও মানুষকে উত্তর দেব না যাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল এবং যিনি ভারতে পড়ে রয়েছেন নিজের দেশে আত্মরক্ষা করতে না পেরে। তাই আমি এখানে বসে তাকে নিয়ে কোনও আলোচনা করব না।”
হিজাব বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ভারতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ হবে কি না তা নিয়ে মামলা চলছে কর্ণাটক হাইকোর্টে। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার স্পষ্টবক্তা তসলিমা নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। তিনি বলেন, “একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের পোশাক হওয়া উচিত ধর্মীয় ভেদাভেদহীন। শিক্ষকরা যে পড়ুয়াদের ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুল-কলেজে আসতে বারণ করছেন, এর মধ্যে কোনও ভুল নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মচর্চা তথা ব্যক্তিগত ভাবাবেগ অনুশীলনের জায়গা নয়।” তসলিমা আরও বলেন, “বরং স্কুলে শেখানো হয় নাগরিকের অধিকার, লিঙ্গসাম্য, মানবিকতা, আধুনিক মনস্কতা, বিজ্ঞান ভাবনা ইত্যাদি।”
সাক্ষাৎকারে তসলিমা নাসরিন দাবি করেন, হিজাব, বোরখা বা নিকাব নারী নিপীড়নের প্রতীক। তার মতে, “হিজাব, বোরখা, নিকাব আসলে দেগে দেয় যে মেয়েরা যৌন বস্তু ছাড়া কিছু নয়। পুরুষদের থেকে মেয়েদের লুকিয়ে রাখা দরকার, নচেৎ তারা পুরুষের যৌন আসক্তির শিকার হবে, এই ভাবনা খুবই নিন্দনীয়। এই মনোভাবের দ্রুত অবসান হওয়া উচিত।”
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ