২২ দিন পর সড়কে গণপরিবহন


২২ দিন বন্ধ থাকার পর আজ পুনরায় চালু হয়েছে গণপরিবহন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৬ মে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অর্ধেক যাত্রী আর বর্ধিত ভাড়া নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সব জেলায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের আদলে কঠোর নিষেধাজ্ঞার শুরু দিন থেকেই গণপরিবহন বন্ধ ছিল।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শুধুমাত্র জেলার গাড়ি জেলাতে চলাচল করতে পারবে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে যাত্রবাহী ট্রেন ও নৌযান চলাচল।
সকাল থেকে রাজধানীর বেশ কয়টি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাসের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে অফিস যাওয়ার জন্য সকালে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তারাই বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। এছাড়া যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। বাসগুলোতে পাশাপাশি দুই সিটের একটি খালি রেখে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
দিশারী পরিবহনের চালক মামুন জানান, লকডাউনের কারণে আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে অনেক সমস্যা হচ্ছিলো। এখন আমরা বাস চালানোর সুযোগ পেয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা যাত্রী পরিবহন করছি এবং করবো।
এছাড়া বেশ কয়েকটি রুটের বাসের দেখা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দুই সিটে একজন করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। সকাল থেকে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম থাকায় পরিবহনের চালক ও হেলপাররা অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোর সুযোগ পাচ্ছেন না।
এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা দেখভালের জন্য পরিবহন মালিক কিংবা শ্রমিক সংগঠনের কাউকে দেখা যায়নি।
অর্ধেক যাত্রী আর বর্ধিত ভাড়ার এ নির্দেশনা আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, সড়কে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বিআরটিএর নির্দেশনাগুলো হলো:
# আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে
# কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের (৫০%) বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না
# কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০% বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না
# ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং
# পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, ৫ মে বুধবার ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী গাড়িতে ওঠাতে পারবে না এবং গাড়ির স্টাফদের মালিক মাস্ক সরবরাহ করবেন। গাড়িতে সিটের অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে। লকডাউনে মালিক-শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এক্ষেত্রে রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির জিপির নামে কোনো ধরনের অর্থ গাড়ি থেকে আদায় করতে পারবে না।
এর আগে বুধবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘লকডাউন’ তথা মানুষের চলাচলে বিধি-নিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার অভ্যন্তরে বাস চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বন্ধ থাকবে দূরপাল্লার বাস এবং লঞ্চ-ট্রেন চলাচল।
ভয়েস টিভি/এসএফ
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শুধুমাত্র জেলার গাড়ি জেলাতে চলাচল করতে পারবে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে যাত্রবাহী ট্রেন ও নৌযান চলাচল।
সকাল থেকে রাজধানীর বেশ কয়টি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাসের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে অফিস যাওয়ার জন্য সকালে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তারাই বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। এছাড়া যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। বাসগুলোতে পাশাপাশি দুই সিটের একটি খালি রেখে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
দিশারী পরিবহনের চালক মামুন জানান, লকডাউনের কারণে আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে অনেক সমস্যা হচ্ছিলো। এখন আমরা বাস চালানোর সুযোগ পেয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা যাত্রী পরিবহন করছি এবং করবো।
এছাড়া বেশ কয়েকটি রুটের বাসের দেখা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দুই সিটে একজন করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। সকাল থেকে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম থাকায় পরিবহনের চালক ও হেলপাররা অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোর সুযোগ পাচ্ছেন না।
এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা দেখভালের জন্য পরিবহন মালিক কিংবা শ্রমিক সংগঠনের কাউকে দেখা যায়নি।
অর্ধেক যাত্রী আর বর্ধিত ভাড়ার এ নির্দেশনা আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, সড়কে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বিআরটিএর নির্দেশনাগুলো হলো:
# আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে
# কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের (৫০%) বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না
# কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০% বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না
# ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং
# পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, ৫ মে বুধবার ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী গাড়িতে ওঠাতে পারবে না এবং গাড়ির স্টাফদের মালিক মাস্ক সরবরাহ করবেন। গাড়িতে সিটের অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে। লকডাউনে মালিক-শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এক্ষেত্রে রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির জিপির নামে কোনো ধরনের অর্থ গাড়ি থেকে আদায় করতে পারবে না।
এর আগে বুধবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘লকডাউন’ তথা মানুষের চলাচলে বিধি-নিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার অভ্যন্তরে বাস চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বন্ধ থাকবে দূরপাল্লার বাস এবং লঞ্চ-ট্রেন চলাচল।
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ