ব্যাংকের জাল চালানে আত্মসাৎ হাসপাতালের ৭০ লাখ টাকা


নড়াইল সদর হাসপাতালের সেবা ফি’র প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবরক্ষক জাহানারা খানমকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হেংয়ছে। একই সঙ্গে গঠিত হয়েছে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় সূত্র জানায়, হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ফি, জরুরি বিভাগ ফি, ভর্তি ফি, প্যাথলজি ফি, এক্স রে ফি, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ফি, ক্যাবিন ফি, অ্যাম্বুলেন্স ফি, অপারেশন ফি, কোভিড-১৯ ফিসহ অন্যান্য ফি বাবদ সেবা গ্রহীতাদের নিকট থেকে নেয়া অর্থ সোনালী ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়া হয়নি। কিন্তু ব্যাংকে জমা দেয়ার জাল চালান হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র আরও জানায়, একইভাবে এর আগের হিসাবরক্ষক মো. মাহফুজুর রহমান সাত বছরের সেবা ফি’র প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা জমা দেননি। বিষয়টি অডিটে ধরা পড়লে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যশোর কার্যালয়ে মামলা হয় (মামলা নম্বর-৪/২০২০)। মামলাটি বিচারাধীন আছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুস শাকুর বলেন, ‘প্রতি বছর অডিট হওয়ার কথা, কিন্তু অডিট হয় ৪-৫ বছর পর। প্রতি বছর অডিট হলে এমন সমস্যা হতো না।’
৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুস শাকুর জানান, সেবা ফি’র টাকা প্রতিটি বিভাগ থেকে লিখিতভাবে গ্রহণ করেন হিসাবরক্ষক। হিসাবরক্ষক প্রতি মাসে ওই টাকা ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেবেন। কিন্ত হিসাবরক্ষক জাহান আরা খানম ওই টাকা জমা না দিয়ে ব্যাংকে জমা দেয়ার জাল চালান তৈরি করে সংরক্ষণ করেছেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে গত মঙ্গলবার ব্যাংকে গিয়ে যাচাই করে এর সতত্যা পাওয়া যায়।
আব্দুস শাকুর বলেন, ‘ওই টাকা ব্যাংকে তিন দিনের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য জাহান আরা খানমকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানো হয়েছে, তিনদিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাকে সেবা ফি গ্রহণের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে প্রধান সহকারী মঞ্জুরুল আলমকে ওই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে সার্জারি বিভাগের জ্যেষ্ঠ কনসালটেন্ট মো. আকরাম হোসেন ও সদস্য সচিব আরএমও আ ফ ম মশিউর রহমান। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
নড়াইল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আবু সেলিম জানান, ব্যাংকে ওই সময়ে এ বাবদ কোনো টাকা জমা হয়নি। যে চালান সংরক্ষণ করা হয়েছে সেগুলো জাল। ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে জমা চালান তৈরি করা হয়েছে।’
এ ব্যপারে জানতে চাইলে জাহানারা খানম সাংবাদিকদের বলেছেন, কিছু টাকা জমা দেয়া হয়নি। তা এক সপ্তহের মধ্যে জমা দিয়ে দেব। জাল চালান তৈরির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। কত টাকা জমা দেননি, এসব কোনো প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।’
আরও পড়ুন: কোটি টাকা আত্মসাৎ, সিআইডির জালে নারীসহ আটক ৩
ভয়েস টিভি/এসএফ
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় সূত্র জানায়, হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ফি, জরুরি বিভাগ ফি, ভর্তি ফি, প্যাথলজি ফি, এক্স রে ফি, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ফি, ক্যাবিন ফি, অ্যাম্বুলেন্স ফি, অপারেশন ফি, কোভিড-১৯ ফিসহ অন্যান্য ফি বাবদ সেবা গ্রহীতাদের নিকট থেকে নেয়া অর্থ সোনালী ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়া হয়নি। কিন্তু ব্যাংকে জমা দেয়ার জাল চালান হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র আরও জানায়, একইভাবে এর আগের হিসাবরক্ষক মো. মাহফুজুর রহমান সাত বছরের সেবা ফি’র প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা জমা দেননি। বিষয়টি অডিটে ধরা পড়লে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যশোর কার্যালয়ে মামলা হয় (মামলা নম্বর-৪/২০২০)। মামলাটি বিচারাধীন আছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুস শাকুর বলেন, ‘প্রতি বছর অডিট হওয়ার কথা, কিন্তু অডিট হয় ৪-৫ বছর পর। প্রতি বছর অডিট হলে এমন সমস্যা হতো না।’
৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুস শাকুর জানান, সেবা ফি’র টাকা প্রতিটি বিভাগ থেকে লিখিতভাবে গ্রহণ করেন হিসাবরক্ষক। হিসাবরক্ষক প্রতি মাসে ওই টাকা ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেবেন। কিন্ত হিসাবরক্ষক জাহান আরা খানম ওই টাকা জমা না দিয়ে ব্যাংকে জমা দেয়ার জাল চালান তৈরি করে সংরক্ষণ করেছেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে গত মঙ্গলবার ব্যাংকে গিয়ে যাচাই করে এর সতত্যা পাওয়া যায়।
আব্দুস শাকুর বলেন, ‘ওই টাকা ব্যাংকে তিন দিনের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য জাহান আরা খানমকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানো হয়েছে, তিনদিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাকে সেবা ফি গ্রহণের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে প্রধান সহকারী মঞ্জুরুল আলমকে ওই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে সার্জারি বিভাগের জ্যেষ্ঠ কনসালটেন্ট মো. আকরাম হোসেন ও সদস্য সচিব আরএমও আ ফ ম মশিউর রহমান। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
নড়াইল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আবু সেলিম জানান, ব্যাংকে ওই সময়ে এ বাবদ কোনো টাকা জমা হয়নি। যে চালান সংরক্ষণ করা হয়েছে সেগুলো জাল। ব্যাংকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে জমা চালান তৈরি করা হয়েছে।’
এ ব্যপারে জানতে চাইলে জাহানারা খানম সাংবাদিকদের বলেছেন, কিছু টাকা জমা দেয়া হয়নি। তা এক সপ্তহের মধ্যে জমা দিয়ে দেব। জাল চালান তৈরির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। কত টাকা জমা দেননি, এসব কোনো প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।’
আরও পড়ুন: কোটি টাকা আত্মসাৎ, সিআইডির জালে নারীসহ আটক ৩
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ