ইউক্রেন সফরের পরিকল্পনায় বরিস জনসন


ইউক্রেন ঘিরে পূর্ব ইউরোপীয় অঞ্চলে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এর অবসানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করছেন। ইউরোপের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি প্রশমনে আগামী সপ্তাহে ইউক্রেন সফরে যাবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ইউক্রেন সংকটে রক্তপাত এড়াতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী।
রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে এক লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে । পুতিন বলেছেন, তিনি কথা বলার জন্য প্রস্তুত থাকলেও মস্কোর প্রধান নিরাপত্তা দাবিগুলোর সুরাহা করেনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর সক্ষমতা আছে রাশিয়ার। তবে রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায় তাহলে এটি বিপর্যয়কর হবে এবং এতে কোনও পক্ষই জয়ী হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বরিস জনসন।
ইউক্রেনে কোনও ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে হুমকি দিয়ে ব্রিটেন একই ধরনের পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়ার ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সোমবার ব্রিটেনের সরকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপে রক্তপাত এড়াতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে বদ্ধপরিকর।’
‘চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কথা বলার সময় রাশিয়ার পিছু হটা এবং কূটনৈতিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করবেন বরিস জনসন।’ তবে কখন অথবা কোথায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই সফর হবে সে ব্যাপারে বরিস জনসনের কার্যালয় বিস্তারিত কোনও তথ্য দেয়নি।
ইউক্রেনে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোতায়েন করেছে ব্রিটেন। যদিও দেশটির মন্ত্রীরা বলেছেন, সৈন্য মোতায়েনের সম্ভাবনা নেই।
ভয়েসটিভি/আরকে