ইউক্রেন সেনা কর্তৃক জিম্মি ৫ বাংলাদেশি


ইউক্রেনের সেনারা পাঁচ বাংলাদেশিকে জিম্মি করেছেন, এমনটাই জানানো হয়েছে ঢাকায় রাশিয়া দূতাবাস এর বরাত দিয়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও-তে দেখা যায়, জিম্মি ওই বাংলাদেশিরা এই জিম্মি দশা তেকে মুক্তির জন্য আকুতি জানাচ্ছে।
এদিকে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগও বলেছে, ইউক্রেনের কিভারতিসি শহরের একটি অভিবাসী পাঁচ বাংলাদেশিসহ শতাধিক বিদেশি শিবিরটিতে আটকে আছেন।
ভিডিওতে রিয়াদুল মালিক নামের এক বাংলাদেশি নিজের পরিচয় দিয়ে জানান, সেখানে আরো কয়েকজন বাংলাদেশি আছেন।
একজন দরজায় পাহারা দিচ্ছেন। তাদের সবার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
একটি মোবাইল তারা লুকিয়ে রাখতে পেরেছেন।
রিয়াদুল বলেন, ‘এই শিবিরকে ইউক্রেনের সেনারা ঘাঁটি বানিয়েছে। রাশিয়া সেনাঘাঁটি দেখে দেখে বোমা ফেলছে। আমরা অনেক ভয়ে আছি।
আমাদের আটকে রেখেছে জিম্মির মতো করে।
রাত হলে বোমার শব্দ শুনতে পাই। গুলির শব্দ শুনতে পাই। রাতে তারা লাইট বন্ধ করে দেয়। আমরা যেখানে তিনজন মানুষ থাকি, সেখানে ১০ জন এনে রেখেছে। ’
শিবিরে থাকা ব্যক্তিদের মারধরের অভিযোগ করেন রিয়াদুল মালিক।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মারছে। ইউক্রেনের অন্য ক্যাম্পগুলোর সবই বোমা ফেলে উড়িয়ে দিয়েছে এরই মধ্যে।
এই শিবিরটা শুধু আছে। আমরা জানি না, আমাদের জীবনের নিশ্চয়তা কতটুকু আছে।
আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের এখান থেকে উদ্ধার করার জন্য। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমরা বেলারুশ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে আছি। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। ’
ইউক্রেনে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। প্রতিবেশী পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস, ইউক্রেনে বাংলাদেশের স্বার্থ দেখভাল করে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে কেউ সেখানে গিয়ে কাউকে উদ্ধারের সুযোগ নেই।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল,
ইউক্রেনের বন্দিশিবিরে থাকা বাংলাদেশিদেরও উদ্ধার করে নিয়ে আসার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে কাজ করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও-তে দেখা যায়, জিম্মি ওই বাংলাদেশিরা এই জিম্মি দশা তেকে মুক্তির জন্য আকুতি জানাচ্ছে।
এদিকে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগও বলেছে, ইউক্রেনের কিভারতিসি শহরের একটি অভিবাসী পাঁচ বাংলাদেশিসহ শতাধিক বিদেশি শিবিরটিতে আটকে আছেন।
ভিডিওতে রিয়াদুল মালিক নামের এক বাংলাদেশি নিজের পরিচয় দিয়ে জানান, সেখানে আরো কয়েকজন বাংলাদেশি আছেন।
একজন দরজায় পাহারা দিচ্ছেন। তাদের সবার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
একটি মোবাইল তারা লুকিয়ে রাখতে পেরেছেন।
রিয়াদুল বলেন, ‘এই শিবিরকে ইউক্রেনের সেনারা ঘাঁটি বানিয়েছে। রাশিয়া সেনাঘাঁটি দেখে দেখে বোমা ফেলছে। আমরা অনেক ভয়ে আছি।
আমাদের আটকে রেখেছে জিম্মির মতো করে।
রাত হলে বোমার শব্দ শুনতে পাই। গুলির শব্দ শুনতে পাই। রাতে তারা লাইট বন্ধ করে দেয়। আমরা যেখানে তিনজন মানুষ থাকি, সেখানে ১০ জন এনে রেখেছে। ’
শিবিরে থাকা ব্যক্তিদের মারধরের অভিযোগ করেন রিয়াদুল মালিক।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মারছে। ইউক্রেনের অন্য ক্যাম্পগুলোর সবই বোমা ফেলে উড়িয়ে দিয়েছে এরই মধ্যে।
এই শিবিরটা শুধু আছে। আমরা জানি না, আমাদের জীবনের নিশ্চয়তা কতটুকু আছে।
আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের এখান থেকে উদ্ধার করার জন্য। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমরা বেলারুশ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে আছি। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। ’
ইউক্রেনে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। প্রতিবেশী পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস, ইউক্রেনে বাংলাদেশের স্বার্থ দেখভাল করে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে কেউ সেখানে গিয়ে কাউকে উদ্ধারের সুযোগ নেই।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল,
ইউক্রেনের বন্দিশিবিরে থাকা বাংলাদেশিদেরও উদ্ধার করে নিয়ে আসার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে কাজ করছে।
সর্বশেষ সংবাদ