ইভ্যালির লেনদেন ৩ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা


অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এতে ইভ্যালি গঠনের পর থেকে গত দুই বছর তিন মাসের লেনদেনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালি ডটকম লিমিটেড ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট নামে প্রাপ্ত ৩৬টি হিসাবে ৩৮৯৮ দশমিক ৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে জমা প্রায় ১৯৫৬ দশমিক ১৯ কোটি টাকা ও উত্তোলন হয়েছে প্রায় ১৯৪২ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা। হিসাবগুলোয় ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থিতির পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ১৩ কোটি টাকা।
এতে আরও বলা হয়, ইভ্যালির নামে পরিচালিত হিসাব থেকে গত বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ইভ্যালি সংশ্লিষ্ট কয়েক ব্যক্তি- সেলিম রেজা, ফরিদ হোসাইন, তারিক রহমান ও রাকিব ৫০ দশমিক ২১ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এ ছাড়া ক্লিয়ারিং ও ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকে ৩১৪ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। ইভ্যালির নামে ঢাকা ব্যাংক অফিসের লোকাল শাখার একটি অ্যাকাউন্টে একই ধরনের লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত সেলিম রেজা, ফরিদ হোসাইন, তারিক রহমান ও রাকিব ৫৪ দশমিক ১২ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। একই হিসাব থেকে ক্লিয়ারিং ও ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৩৪ দশমিক ৮১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, যা পণ্য ক্রয়ের পেমেন্ট বলে প্রতীয়মান হয়।
ইভ্যালি কোম্পানি হিসেবে ২০১৮ সালের জুনে নিবন্ধিত হয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার আগের এটির এমডি মো. রাসেল নেক্সট জি নামক প্রতিষ্ঠান খুলে ডায়াপারের ব্যবসা পরিচালনা করেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত নেক্সট জির হিসাবসহ রাসেল ও (তার স্ত্রী) শামীমা নাসরিনের হিসাবগুলোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লেনদেন দেখা না গেলেও এসব হিসাবে ২০১৮ সালের পর হঠাৎ করে বড় লেনদেনের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। এ ছাড়া ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত একটি সম্পূরক প্রতিবেদন প্রণয়নের কাজ চলছে বলেও এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনটি রিটে দেওয়া এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। একটি রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেছে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে কিছু সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ২১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের মধ্যে বণ্টনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া এ বিষয়ে যেসব মামলা হবে, তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আদালত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স গ্রাহকদের অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট করেন। পরে ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লব একটি রিট করেন। ই-অরেঞ্জের কাছে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৩ গ্রাহক একটি রিট করেন। এ রিটের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়। সে অনুযায়ী গতকাল প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন : ইভ্যালি থেকে মাসে ১০ লাখ টাকা নিতেন রাসেল দম্পতি
ভয়েসটিভি/এমএম
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালি ডটকম লিমিটেড ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট নামে প্রাপ্ত ৩৬টি হিসাবে ৩৮৯৮ দশমিক ৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে জমা প্রায় ১৯৫৬ দশমিক ১৯ কোটি টাকা ও উত্তোলন হয়েছে প্রায় ১৯৪২ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা। হিসাবগুলোয় ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থিতির পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ১৩ কোটি টাকা।
এতে আরও বলা হয়, ইভ্যালির নামে পরিচালিত হিসাব থেকে গত বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ইভ্যালি সংশ্লিষ্ট কয়েক ব্যক্তি- সেলিম রেজা, ফরিদ হোসাইন, তারিক রহমান ও রাকিব ৫০ দশমিক ২১ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এ ছাড়া ক্লিয়ারিং ও ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকে ৩১৪ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। ইভ্যালির নামে ঢাকা ব্যাংক অফিসের লোকাল শাখার একটি অ্যাকাউন্টে একই ধরনের লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত সেলিম রেজা, ফরিদ হোসাইন, তারিক রহমান ও রাকিব ৫৪ দশমিক ১২ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। একই হিসাব থেকে ক্লিয়ারিং ও ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৩৪ দশমিক ৮১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, যা পণ্য ক্রয়ের পেমেন্ট বলে প্রতীয়মান হয়।
ইভ্যালি কোম্পানি হিসেবে ২০১৮ সালের জুনে নিবন্ধিত হয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার আগের এটির এমডি মো. রাসেল নেক্সট জি নামক প্রতিষ্ঠান খুলে ডায়াপারের ব্যবসা পরিচালনা করেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত নেক্সট জির হিসাবসহ রাসেল ও (তার স্ত্রী) শামীমা নাসরিনের হিসাবগুলোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লেনদেন দেখা না গেলেও এসব হিসাবে ২০১৮ সালের পর হঠাৎ করে বড় লেনদেনের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। এ ছাড়া ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত একটি সম্পূরক প্রতিবেদন প্রণয়নের কাজ চলছে বলেও এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনটি রিটে দেওয়া এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। একটি রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেছে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে কিছু সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ২১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের মধ্যে বণ্টনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া এ বিষয়ে যেসব মামলা হবে, তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আদালত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স গ্রাহকদের অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট করেন। পরে ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লব একটি রিট করেন। ই-অরেঞ্জের কাছে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৩ গ্রাহক একটি রিট করেন। এ রিটের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়। সে অনুযায়ী গতকাল প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন : ইভ্যালি থেকে মাসে ১০ লাখ টাকা নিতেন রাসেল দম্পতি
ভয়েসটিভি/এমএম
সর্বশেষ সংবাদ