ঘূর্ণিঝড়ের আগেই উড়ে গেল উপহারের ঘর


কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হস্থান্তরের ৩ মাসের মাথায় ঘূর্ণিঝড়ের আগেই সামান্য বাতাসে উড়ে গেলো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের দুটি ঘরের চাল। এসব ঘর নির্মানে সিমেন্টের পরিমাণ কম দেয়া এবং কাজের মান খারাপ হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে সুবিধাভোগীদের অভিযোগ।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মান প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ২ দফায় মোট ৪২০টি ঘরের বরাদ্দ আসে। এতে ১ম কিস্তির প্রতিটি ঘরের ব্যয় ১লাখ ৭১ হাজার টাকা হারে ১২০টি ঘরের জন্য ২ কোটি ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ২য় কিস্তির প্রতিটি ঘরের ব্যায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা হারে ৩০০টি ঘরের জন্য ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
১ম কিস্তির ১২০টি ঘর গত ২৩ জানুয়ারি সুবিধাভোগীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
১ম দফায় নির্মিত ঘরের মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় সামান্য বাতাসে দুইটি ঘরের চাল উড়ে গেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় খরখরিয়া তেলিপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সামান্য ঝড়ো বাতাসে মৃত-মতিয়ার রহমানের স্ত্রী সবেদা বেওয়া ও তার ছেলে সফিকুল ইসলাম দুজনের দুটি ঘরের বারান্দার পিলার ভেঙে পড়েছে ও চাল উড়ে গেছে।
সবেদা বেওয়া বলেন, অল্পের জন্য বেঁচে গেছি বাবা, হামার এই ঘরের দরকার নাই, নিয়ে যাও তোমার ঘর। সফিকুল ইসলামের স্ত্রী লতিফা বেগম, মল্লিকা বেগম ও আ. মতিনসহ ভুক্তভোগীরা বলেন, ঘরের নিচে পড়ে যদি মরতে হয় তাহলে আমাদের এই ঘরের দরকার নাই। জীবনের ঝুকি নিয়ে এ ঘরে থাকা যাবে না।
ঘরের কাজে সিমেন্টের পরিমাণ কম দেয়া এবং নিম্নমানের কাঠসহ নানা অনিয়মের ফলে এমন ঘটনা ঘটছে বলে সুবিধাভোগীদের অভিযোগ।
কাঠের মান খারাপ এবং মজুরি কম দেয়ায় ঘরের কাজে ত্রুটি হয়েছে বলে কাঠ মিস্ত্রির দাবি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভারের ভাই ঠিকাদারের কাজ নেয়ায় সুবিধাভোগীদের কথা না শুনে কাজের মান খারাপ করারও অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কোহিনুর রহমান জানান, এক জায়গায়একটু সমস্যা হয়েছিল, লোক পাঠিয়ে ঠিক করে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আমি সদ্য যোগদান করেছি। আজই প্রথম অফিস করলাম। বিষয়টি আমার গোচরীভূত হয়েছে।
ভয়েস টিভি/এসএফ
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মান প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ২ দফায় মোট ৪২০টি ঘরের বরাদ্দ আসে। এতে ১ম কিস্তির প্রতিটি ঘরের ব্যয় ১লাখ ৭১ হাজার টাকা হারে ১২০টি ঘরের জন্য ২ কোটি ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ২য় কিস্তির প্রতিটি ঘরের ব্যায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা হারে ৩০০টি ঘরের জন্য ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
১ম কিস্তির ১২০টি ঘর গত ২৩ জানুয়ারি সুবিধাভোগীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
১ম দফায় নির্মিত ঘরের মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় সামান্য বাতাসে দুইটি ঘরের চাল উড়ে গেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় খরখরিয়া তেলিপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সামান্য ঝড়ো বাতাসে মৃত-মতিয়ার রহমানের স্ত্রী সবেদা বেওয়া ও তার ছেলে সফিকুল ইসলাম দুজনের দুটি ঘরের বারান্দার পিলার ভেঙে পড়েছে ও চাল উড়ে গেছে।
সবেদা বেওয়া বলেন, অল্পের জন্য বেঁচে গেছি বাবা, হামার এই ঘরের দরকার নাই, নিয়ে যাও তোমার ঘর। সফিকুল ইসলামের স্ত্রী লতিফা বেগম, মল্লিকা বেগম ও আ. মতিনসহ ভুক্তভোগীরা বলেন, ঘরের নিচে পড়ে যদি মরতে হয় তাহলে আমাদের এই ঘরের দরকার নাই। জীবনের ঝুকি নিয়ে এ ঘরে থাকা যাবে না।
ঘরের কাজে সিমেন্টের পরিমাণ কম দেয়া এবং নিম্নমানের কাঠসহ নানা অনিয়মের ফলে এমন ঘটনা ঘটছে বলে সুবিধাভোগীদের অভিযোগ।
কাঠের মান খারাপ এবং মজুরি কম দেয়ায় ঘরের কাজে ত্রুটি হয়েছে বলে কাঠ মিস্ত্রির দাবি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভারের ভাই ঠিকাদারের কাজ নেয়ায় সুবিধাভোগীদের কথা না শুনে কাজের মান খারাপ করারও অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কোহিনুর রহমান জানান, এক জায়গায়একটু সমস্যা হয়েছিল, লোক পাঠিয়ে ঠিক করে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আমি সদ্য যোগদান করেছি। আজই প্রথম অফিস করলাম। বিষয়টি আমার গোচরীভূত হয়েছে।
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ