এফআর টাওয়ারে নকশা জালিয়াতি মামলায় মালিকসহ ৪ জনের বিচার শুরু


বনানীর এফআর টাওয়ার জাল-জালিয়াতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে নির্মাণের মামলায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন খাদেম ও ভবন মালিক এসএমএইচআই ফারুকসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ কামাল হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ চার্জগঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ১৫ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন।
চার্জগঠন হওয়া মামলার অপর আসামিরা হলেন, রূপায়ন গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান মুকুল ও রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান। মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর হুমায়ূন খাদেমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিট দাখিলের সময় হুমায়ূন খাদেম পলাতক থাকায় ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি একই আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে পরে তিনি জামিন নেন।
মামলার আসামিরা সবাই জামিনে আছেন। সোমবার শুনানির সময় তারা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে হুমায়ুন খাদেমকে অসুস্থ অবস্থায় বেডে শোয়া অবস্থায় তার পরিবার আদালতে হাজির করেন।
মামলায় বলা হয়, এফআর টাওয়ারের ১৫ তলা অনুমোদন থাকলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ লঙ্ঘন করে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেন। ১৯৯৬ সালের এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত নকশা ভবনের উচ্চতা ১৮ তলা, যদিও নির্মাণ করা হয়েছে ২৩ তলা। পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সালে এফআর টাওয়ারের মালিকপক্ষ রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা জমা দেয়। ১৯৯৬ সালে মূল যে নকশা রাজউক অনুমোদন দিয়েছিল তার সঙ্গে নির্মিত ভবনটির অনেক বিচ্যুতি ছিল। এ অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ জুন দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭৩ জন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আহত হয়ে ফ্যায়ারম্যান সোহেল রানাও মারা যান।
ভয়েস টিভি/এমএম
চার্জগঠন হওয়া মামলার অপর আসামিরা হলেন, রূপায়ন গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান মুকুল ও রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান। মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর হুমায়ূন খাদেমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিট দাখিলের সময় হুমায়ূন খাদেম পলাতক থাকায় ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি একই আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে পরে তিনি জামিন নেন।
মামলার আসামিরা সবাই জামিনে আছেন। সোমবার শুনানির সময় তারা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে হুমায়ুন খাদেমকে অসুস্থ অবস্থায় বেডে শোয়া অবস্থায় তার পরিবার আদালতে হাজির করেন।
মামলায় বলা হয়, এফআর টাওয়ারের ১৫ তলা অনুমোদন থাকলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ লঙ্ঘন করে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেন। ১৯৯৬ সালের এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত নকশা ভবনের উচ্চতা ১৮ তলা, যদিও নির্মাণ করা হয়েছে ২৩ তলা। পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সালে এফআর টাওয়ারের মালিকপক্ষ রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা জমা দেয়। ১৯৯৬ সালে মূল যে নকশা রাজউক অনুমোদন দিয়েছিল তার সঙ্গে নির্মিত ভবনটির অনেক বিচ্যুতি ছিল। এ অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ জুন দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭৩ জন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আহত হয়ে ফ্যায়ারম্যান সোহেল রানাও মারা যান।
ভয়েস টিভি/এমএম
সর্বশেষ সংবাদ