কলকাতার শৈল্পিক সিনেমার পরতে পরতে যৌ/ন/তা (ভিডিও)


গত দুই দশকে কলকাতায় গড়ে উঠেছে সিনেমার নতুন ধারা বা ফর্ম। যে ধারায় শিল্প ও বাণিজ্যের মিশেল রয়েছে। আর এই মিশেলে নির্মিত সিনেমায় নানা ফর্মে প্রদর্শিত হয় যৌনতার নানা রূপ।
দর্শকশ্রেণির চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে মেইনস্ট্রিম আর আর্টফর্মের মিশেলে তৈরি এ সব সিনেমার নাম দেওয়া হয়েছে মিডল রোড বা মধ্যপন্থার সিনেমা। এ সব সিনেমার খবর থাকছে আজকের আয়োজনে।
নতুন ফর্মের মধ্যপন্থার সিনেমা যাদের হাত ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাদের মধ্যে আছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেন আর অঞ্জন দত্তের মতো মেধাবী নির্মাতারা।
তাদের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে এ ধারার নির্মাণে যুক্ত হয়েছেন সৃজিত মূখার্জী এবং হালের ‘কিউ কৌশিক’ও। তাদের ছবিগুলোতে জীবনবোধের চর্চার পাশাপাশি থাকে রগরগে যৌনতার শৈল্পিক উপস্থাপনা।
যৌনতাকে শৈল্পিকভাবে কিভাবে উপস্থাপন করা যায়, এবং তা মেইনস্ট্রিম আর আর্টফর্মের সমন্বয়ের ভিতর দিয়ে চর্চা করা যায়, তা পর্দায় তুলে এনেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।
প্রায় ছবিতেই তিনি বলেছেন বিচিত্র সব সম্পর্ক আর যৌনতার গল্প।
ঋতুপর্ণের চোখের বালি, নৌকাডুবি, অন্তরমহল ও চিত্রাঙ্গদা সিনেমায় দেখানো হয়েছে পরকিয়া সম্পর্কগুলোর রগরগে দৃশ্যায়ন, দুই পুরুষের সমকামিতা এবং লিঙ্গান্তর বা রূপান্তরিত নারী পুরুষের গল্প।
এ সব সিনেমার বদৌলতে কলকাতার নির্মাতা থেকে অভিনয় শিল্পীদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও এসেছে পরিবর্তন।
এখন যে কোনো ভালো অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও কোনো সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি হয়ে যাচ্ছেন।
কলকাতার মেইনস্ট্রিম সিনেমাতেও এতো সাহসী ভূমিকায় কোনো অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের দেখা যায় না।
কলকাতার তরুণ নির্মাতা কৌশিক, যিনি কিউ নামে পরিচিত। ‘গান্ডু’ নির্মাণ করেই কলকাতা বাংলা সিনেমায় বেশ হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। গান্ডু আগাগোড়া একটা ‘এক্স’ রেটেড সিনেমা। যদিও ‘গান্ডু’ শেষ পর্যন্ত অশ্লীলতার দায়ে নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
২০১৫ সালে অনলাইনে মুক্তি পায় অমিতাভ চক্রবর্তীর ছবি ‘কসমিক সেক্স’। যা কলকাতা ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের নানা প্রতিবন্ধকতার পর অভিনব পদ্ধতিতে ইন্টারনেটে পৃথিবী ব্যাপী মুক্তি দেয়া হয়।
সিনেমা হলে মুক্তির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে অমিত চক্রবর্তী অবশেষে এই অভিনব পদ্ধতিতে সিনেমা মুক্তি দেন।
এছাড়া কলকাতা বাংলা সিনেমার এ সব মধ্যপন্থী সিনেমার মধ্যে আছে ‘থ্রি অন আ বেড’। ছবিটি প্রযোজনা করেছে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট।
রাজদীপ পাল এবং শর্মিষ্ঠা মাইতি নির্মিত এই ছবিতে এক নারী ও দুই পুরুষের একত্রে বাস করার কাহিনী দেখানো হয়। গল্পের প্রয়োজনেই প্রচুর খোলামেলা আর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ফুলঝুড়ি ঘটে ছবিটিতে।
কলকাতার সিনেমার সাহসী নির্মাতা মৈনাক ভৌমিক টপ রেডেট অভিনেত্রী স্বস্তিকা মূখার্জীকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন 'টেক ওয়ান'। ছবিতে একেবারে খোলামেলা চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন স্বস্তিকা।
সিনেমাটিতে স্বস্তিকা প্রায় বিবসনা হয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন। এতে জনৈ মডেলের সঙ্গে স্বস্তিকার একাধিক আবেগঘন দৃশ্য রয়েছে।
তবে সেন্সরে কর্তনের ভয়ে সিনেমাতে স্বস্তিকার বিবসনা দৃশ্যগুলো কিছুটা অস্পষ্ট করে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু বাইরের চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে সিনেমাটির দৃশ্যগুলো স্বাভাবিক রেখেই পাঠানো হয়েছে।
দর্শকশ্রেণির চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে মেইনস্ট্রিম আর আর্টফর্মের মিশেলে তৈরি এ সব সিনেমার নাম দেওয়া হয়েছে মিডল রোড বা মধ্যপন্থার সিনেমা। এ সব সিনেমার খবর থাকছে আজকের আয়োজনে।
নতুন ফর্মের মধ্যপন্থার সিনেমা যাদের হাত ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাদের মধ্যে আছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেন আর অঞ্জন দত্তের মতো মেধাবী নির্মাতারা।
তাদের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে এ ধারার নির্মাণে যুক্ত হয়েছেন সৃজিত মূখার্জী এবং হালের ‘কিউ কৌশিক’ও। তাদের ছবিগুলোতে জীবনবোধের চর্চার পাশাপাশি থাকে রগরগে যৌনতার শৈল্পিক উপস্থাপনা।
যৌনতাকে শৈল্পিকভাবে কিভাবে উপস্থাপন করা যায়, এবং তা মেইনস্ট্রিম আর আর্টফর্মের সমন্বয়ের ভিতর দিয়ে চর্চা করা যায়, তা পর্দায় তুলে এনেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।
প্রায় ছবিতেই তিনি বলেছেন বিচিত্র সব সম্পর্ক আর যৌনতার গল্প।
ঋতুপর্ণের চোখের বালি, নৌকাডুবি, অন্তরমহল ও চিত্রাঙ্গদা সিনেমায় দেখানো হয়েছে পরকিয়া সম্পর্কগুলোর রগরগে দৃশ্যায়ন, দুই পুরুষের সমকামিতা এবং লিঙ্গান্তর বা রূপান্তরিত নারী পুরুষের গল্প।
এ সব সিনেমার বদৌলতে কলকাতার নির্মাতা থেকে অভিনয় শিল্পীদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও এসেছে পরিবর্তন।
এখন যে কোনো ভালো অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও কোনো সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি হয়ে যাচ্ছেন।
কলকাতার মেইনস্ট্রিম সিনেমাতেও এতো সাহসী ভূমিকায় কোনো অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের দেখা যায় না।
কলকাতার তরুণ নির্মাতা কৌশিক, যিনি কিউ নামে পরিচিত। ‘গান্ডু’ নির্মাণ করেই কলকাতা বাংলা সিনেমায় বেশ হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। গান্ডু আগাগোড়া একটা ‘এক্স’ রেটেড সিনেমা। যদিও ‘গান্ডু’ শেষ পর্যন্ত অশ্লীলতার দায়ে নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
২০১৫ সালে অনলাইনে মুক্তি পায় অমিতাভ চক্রবর্তীর ছবি ‘কসমিক সেক্স’। যা কলকাতা ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের নানা প্রতিবন্ধকতার পর অভিনব পদ্ধতিতে ইন্টারনেটে পৃথিবী ব্যাপী মুক্তি দেয়া হয়।
সিনেমা হলে মুক্তির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে অমিত চক্রবর্তী অবশেষে এই অভিনব পদ্ধতিতে সিনেমা মুক্তি দেন।
এছাড়া কলকাতা বাংলা সিনেমার এ সব মধ্যপন্থী সিনেমার মধ্যে আছে ‘থ্রি অন আ বেড’। ছবিটি প্রযোজনা করেছে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট।
রাজদীপ পাল এবং শর্মিষ্ঠা মাইতি নির্মিত এই ছবিতে এক নারী ও দুই পুরুষের একত্রে বাস করার কাহিনী দেখানো হয়। গল্পের প্রয়োজনেই প্রচুর খোলামেলা আর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ফুলঝুড়ি ঘটে ছবিটিতে।
কলকাতার সিনেমার সাহসী নির্মাতা মৈনাক ভৌমিক টপ রেডেট অভিনেত্রী স্বস্তিকা মূখার্জীকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন 'টেক ওয়ান'। ছবিতে একেবারে খোলামেলা চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন স্বস্তিকা।
সিনেমাটিতে স্বস্তিকা প্রায় বিবসনা হয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন। এতে জনৈ মডেলের সঙ্গে স্বস্তিকার একাধিক আবেগঘন দৃশ্য রয়েছে।
তবে সেন্সরে কর্তনের ভয়ে সিনেমাতে স্বস্তিকার বিবসনা দৃশ্যগুলো কিছুটা অস্পষ্ট করে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু বাইরের চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে সিনেমাটির দৃশ্যগুলো স্বাভাবিক রেখেই পাঠানো হয়েছে।
সর্বশেষ সংবাদ