কাল থেকে দোকান খুলতে চান ব্যবসায়ীরা

সরকারের অনুমতি পেলে ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খুলতে চান ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যক্রম ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ৭ এপ্রিল বুধবার থেকে ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এমন অবস্থায় শপিংমল ও দোকানপাট খোলার অনুমতি না দিলে এই শ্রেণির মানুষ না খেয়ে মরে যাবে।

এসব কারণেই তারা ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শপিংমল ও দোকানপাট খুলতে চান। এখন সরকারি সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন ব্যবসায়ীরা।

হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি সংবলিত চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। দাবির সারংশটুকু লিখে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষুদে বার্তাও পাঠিয়েছি।

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি জানান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চিঠিতে তারা ক্ষুদ্র, পাইকারি, খুচরা মার্কেট ও দোকান আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। সরকারি অনুমতি ছাড়া আমরা কোনও হঠকারি সিদ্ধান্তে দোকান খুলবো না। আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী বাস্তবতা অনুধাবন করে সঠিক সিদ্ধান্তটি দেবেন।

দোকান মালিক সমিতির এ নেতা বলেন, দোকান খোলার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে আন্দোলন বা বিক্ষোভ হচ্ছে এই বিক্ষোভ বা আন্দোলনের মধ্যে যেকোনও শ্রেণির দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে নাশকতা করতে পারে। বিষয়টি আইজিপিসহ পুলিশ কমিশনারকেও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেলাল উদ্দিন।

করোনার সংক্রমণ বাড়ায় ৫ এপ্রিল সোমবার থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে সরকার। এর আওতায় নিত্যপণ্য, ফার্মেসি (ওষুধের দোকান) ছাড়া সব ধরনের শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে।

ভয়েসটিভি/এএস