খ্যাতির বিড়ম্বনায় সেই বাইক শোভাযাত্রার কনে ফারহানা


খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন বাইক শোভাযাত্রা করে গায়ে হলুদে যোগ দেয়া যশোরের করে ফারহানা আফরোজ। ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে তিনি জানান, বর্তমানে শ্বশুর বাড়িতে রয়েছেন। তার খুব শখ ছিল গায়ে হলুদে এমন একটি আয়োজন করার। কিন্তু সমস্যা যেটা হচ্ছে, কিছু মানুষ তাকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ও ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করছে।
ফারহানা বলেন, একটা ছেলে যদি এটা করতো তাহলে কিছুই হতো না। আমার পোশাকে অশালীন কিছু ছিলো না। আমি লেহেঙ্গা পরেছিলাম। হলুদের পোশাকেই ছিলাম। আমি কিন্তু হলুদের পোশাক পরেই বাইক চালিয়েছি। আবার মানুষ এটাও ছড়াচ্ছে- আমি নাকি বাইক নিয়ে বর নিতে এসেছি। আমি পার্লার থেকে হলুদের সাজ সেজে গিয়েছি, বাইক নিয়ে বর নিতে এসেছি? এটা কোথা থেকে আসল আমি বুঝতে পারছি না। এসব বিষয়গুলো কেমন লাগতে পারে ভাবুন।
ভাইরাল হওয়ার খ্যাতি কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, এটা খ্যাতি না কুখ্যাতি? 'কথা হলো- যেটা হয়নি, সেটা কেন মিথ্যা প্রচার হবে?' তিনি এসব বিষয়ে তার স্বামীকে না টানতে এবং সাংবাদিকদের তার স্বামীকে ফোন না করতেও অনুরোধ করেন। যাতে এমন খ্যাতির বিড়ম্বনায় তার স্বামী বা শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে পড়তে না হয়।
শ্বশুরের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল উপহারের বিষয়ে বলেন, আসলে মানুষজন বেশি বাড়াবাড়ি করছে। আসলে ব্যাপারটা তেমন না। ঢাকায় চলাচল করা খুবই পীড়াদায়ক। মোটরসাইকেল হলে একটু ভালোভাবে চলা যায়। আমি চাচ্ছি না এটা নিয়ে কোনো নিউজ আসুক। আসলে ঢাকা শহরে একটা বাইক বা স্কুটি হলে সহজে চলাচল করা যায়। অনেকে ফেসবুকে বলছেন, শালীনভাবেও বাইক চালানো যায়। আমি অশালীনটা কি করেছি?
তিনি বিয়ের বিষয়ে বলেন, আসলে ২০১৭ সালের ২৮ এপ্রিল আমার বিয়ে হয়। আমার পড়াশোনা ছিল, বিয়ের ক'দিন পরে আমার বাবা মারা গেছে। একারণে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে আমার বিয়ের প্রোগামটা করা হয়নি। ২৬ মার্চ প্রোগাম করার কথা ছিল। করোনার কারণে দুই দিন আগে লকডাউন হয়ে যায়। যার কারণে আমি প্রোগামটা করতে পারিনি। ঈদের পর প্রোগাম করে শ্বশুর বাড়িতে আসা। তিনি আরো বলেন, তখন পারিবারিকভাবে কলমা হয়েছিল। তবে অনুষ্ঠান করে উঠিয়ে নেওয়া হয়নি। আমার একটা ছোট ছেলেও আছে। তার বয়স এক মাস ২৫ দিন। তার নাম চাহাত হাসান। মোটরসাইকেল র্যালির বিষয়টি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।
২০১১ সালে যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে ২০১৩ সালে এইসএসসি পাস করেন ফারহানা। এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এইচআরএ-এমবিএ করছেন। তিনি জানান, ২০০৭ সাল থেকে বাইক চালান। বাড়িতে ছোটবেলাতেই সাইকেল ও প্রাইভেট কার চালানো শেখা। বাবার মোটরসাইকেল চালানোর ঝোঁক ছিল। ঢাকায় আসার পর ২০১৩ সালে বন্ধুদের বাইকে হাত পাকাই। এরপর স্কুটি কিনি। ওই স্কুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করি।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ
ফারহানা বলেন, একটা ছেলে যদি এটা করতো তাহলে কিছুই হতো না। আমার পোশাকে অশালীন কিছু ছিলো না। আমি লেহেঙ্গা পরেছিলাম। হলুদের পোশাকেই ছিলাম। আমি কিন্তু হলুদের পোশাক পরেই বাইক চালিয়েছি। আবার মানুষ এটাও ছড়াচ্ছে- আমি নাকি বাইক নিয়ে বর নিতে এসেছি। আমি পার্লার থেকে হলুদের সাজ সেজে গিয়েছি, বাইক নিয়ে বর নিতে এসেছি? এটা কোথা থেকে আসল আমি বুঝতে পারছি না। এসব বিষয়গুলো কেমন লাগতে পারে ভাবুন।
ভাইরাল হওয়ার খ্যাতি কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, এটা খ্যাতি না কুখ্যাতি? 'কথা হলো- যেটা হয়নি, সেটা কেন মিথ্যা প্রচার হবে?' তিনি এসব বিষয়ে তার স্বামীকে না টানতে এবং সাংবাদিকদের তার স্বামীকে ফোন না করতেও অনুরোধ করেন। যাতে এমন খ্যাতির বিড়ম্বনায় তার স্বামী বা শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে পড়তে না হয়।
শ্বশুরের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল উপহারের বিষয়ে বলেন, আসলে মানুষজন বেশি বাড়াবাড়ি করছে। আসলে ব্যাপারটা তেমন না। ঢাকায় চলাচল করা খুবই পীড়াদায়ক। মোটরসাইকেল হলে একটু ভালোভাবে চলা যায়। আমি চাচ্ছি না এটা নিয়ে কোনো নিউজ আসুক। আসলে ঢাকা শহরে একটা বাইক বা স্কুটি হলে সহজে চলাচল করা যায়। অনেকে ফেসবুকে বলছেন, শালীনভাবেও বাইক চালানো যায়। আমি অশালীনটা কি করেছি?
তিনি বিয়ের বিষয়ে বলেন, আসলে ২০১৭ সালের ২৮ এপ্রিল আমার বিয়ে হয়। আমার পড়াশোনা ছিল, বিয়ের ক'দিন পরে আমার বাবা মারা গেছে। একারণে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে আমার বিয়ের প্রোগামটা করা হয়নি। ২৬ মার্চ প্রোগাম করার কথা ছিল। করোনার কারণে দুই দিন আগে লকডাউন হয়ে যায়। যার কারণে আমি প্রোগামটা করতে পারিনি। ঈদের পর প্রোগাম করে শ্বশুর বাড়িতে আসা। তিনি আরো বলেন, তখন পারিবারিকভাবে কলমা হয়েছিল। তবে অনুষ্ঠান করে উঠিয়ে নেওয়া হয়নি। আমার একটা ছোট ছেলেও আছে। তার বয়স এক মাস ২৫ দিন। তার নাম চাহাত হাসান। মোটরসাইকেল র্যালির বিষয়টি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।
২০১১ সালে যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে ২০১৩ সালে এইসএসসি পাস করেন ফারহানা। এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এইচআরএ-এমবিএ করছেন। তিনি জানান, ২০০৭ সাল থেকে বাইক চালান। বাড়িতে ছোটবেলাতেই সাইকেল ও প্রাইভেট কার চালানো শেখা। বাবার মোটরসাইকেল চালানোর ঝোঁক ছিল। ঢাকায় আসার পর ২০১৩ সালে বন্ধুদের বাইকে হাত পাকাই। এরপর স্কুটি কিনি। ওই স্কুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করি।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ
সর্বশেষ সংবাদ