চুরির অভিযোগে তরুণকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন


চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় চুরির অভিযোগে খুঁটিতে বেঁধে সাদ্দাম হোসেন (২২) নামে এক তরুণকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার হাফিজ মোড়ে শেখ ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
পরে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শেখ আমানুল্লাহ নামের ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, নির্যাতনের শিকার সাদ্দাম স্বভাবে 'চোর'। তিনি আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার আকমল হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শেখ ট্রেডার্সের মালিক শেখ আমানুল্লাহার বিভিন্ন পণ্যের ডিলারশিপ আছে। গতকাল দুপুরে একটি গাড়িতে অর্ডারের পণ্য আনলোড করছিলেন শ্রমিকরা। এসময় সাদ্দাম হোসেন ওই গাড়ি থেকে নুডুলস ও কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যেতে উদ্যত হন। তখন শ্রমিকরা তাকে ধাওয়া করে ধরে আমানুল্লাহর কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর প্রকাশ্যে দোকানের খুঁটিতে সাদ্দামের দুই হাত বেঁধে একটি পাইপ দিয়ে তাকে পেটানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, খুঁটিতে বাঁধা সাদ্দামকে একটি লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন ব্যবসায়ী শেখ আমানুল্লাহ। আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকে সেই দৃশ্য দেখছেন। তবে সেসময় কেউ মারধোর ঠেকাতে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
আমানুল্লাহর দাবি, প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় তিনি অতিষ্ট ছিলেন। সাদ্দামকে নির্যাতনের ঘটনা স্বীকার করেন তিনি। তার বক্তব্য, 'ভালো পথে' ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি শাস্তি দিয়েছেন সাদ্দামকে।
ওসি সাইফুল জানান, খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল থেকে সাদ্দামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার ভাষ্য, এভাবে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। সাদ্দাম চুরি করে থাকলে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া যেত।
সাইফুল বলেন, নির্যাতনের ব্যাপারে সাদ্দাম বা তার পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসির ভাষ্য, সাদ্দাম হোসেন একজন ছোটখাটো অপরাধী। তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় ১ চুরি ও ১টি ছিনতাই মামলা আছে। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধে তাকে একাধিকবার আটকও করেছে পুলিশ।
ভয়েস টিভি/এসএফ
পরে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শেখ আমানুল্লাহ নামের ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, নির্যাতনের শিকার সাদ্দাম স্বভাবে 'চোর'। তিনি আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার আকমল হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শেখ ট্রেডার্সের মালিক শেখ আমানুল্লাহার বিভিন্ন পণ্যের ডিলারশিপ আছে। গতকাল দুপুরে একটি গাড়িতে অর্ডারের পণ্য আনলোড করছিলেন শ্রমিকরা। এসময় সাদ্দাম হোসেন ওই গাড়ি থেকে নুডুলস ও কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যেতে উদ্যত হন। তখন শ্রমিকরা তাকে ধাওয়া করে ধরে আমানুল্লাহর কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর প্রকাশ্যে দোকানের খুঁটিতে সাদ্দামের দুই হাত বেঁধে একটি পাইপ দিয়ে তাকে পেটানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, খুঁটিতে বাঁধা সাদ্দামকে একটি লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন ব্যবসায়ী শেখ আমানুল্লাহ। আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকে সেই দৃশ্য দেখছেন। তবে সেসময় কেউ মারধোর ঠেকাতে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
আমানুল্লাহর দাবি, প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় তিনি অতিষ্ট ছিলেন। সাদ্দামকে নির্যাতনের ঘটনা স্বীকার করেন তিনি। তার বক্তব্য, 'ভালো পথে' ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি শাস্তি দিয়েছেন সাদ্দামকে।
ওসি সাইফুল জানান, খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল থেকে সাদ্দামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার ভাষ্য, এভাবে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। সাদ্দাম চুরি করে থাকলে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া যেত।
সাইফুল বলেন, নির্যাতনের ব্যাপারে সাদ্দাম বা তার পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসির ভাষ্য, সাদ্দাম হোসেন একজন ছোটখাটো অপরাধী। তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় ১ চুরি ও ১টি ছিনতাই মামলা আছে। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধে তাকে একাধিকবার আটকও করেছে পুলিশ।
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ