মাত্র ২০০ টাকা চুরির অপবাদে জীবন দিল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী!


নড়াইলে মাত্র ২০০ টাকা চুরির অপবাদে মাদ্রাসা শিক্ষকের নির্যাতনে আরিফ বিল্লাহ নামে ৯ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। লোহাগড়া উপজেলার মন্ডলভাগ আক্তার হোসেন এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসায় মর্মান্তিক এ ঘটনার পর মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়ে পালিয়েছে শিক্ষকরা।
সোমবার ২৪ জানুয়ারি নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা। আর ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৯ বছরের শিশু আরিফ বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ডিগ্রিরচর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। সে আট মাস আগে মন্ডলভাগ আক্তার হোসেন এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। আরিফ লোহাগড়া মন্ডলভাগ আক্তার হোসেন এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশুনা করতো। গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর ২০০ টাকা হারানোর অভিযোগ উঠলে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ রাতে সব ছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে বেধড়ক লাঠিপেটা করে।
স্বজনদের অভিযোগ, সেদিন হাফেজ আব্দুল্লাহর বেদম প্রহারে শিশু আরিফ অসুস্থ হয়ে পড়লেও শিশুটিকে চিকিৎসা না দিয়ে ফেলে রাখা হয়। এভাবে তিন দিন অতিবাহিত হবার পর খবর পেয়ে স্বজনরা ২১ জানুয়ারি শুক্রবার গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিলেও ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। আরিফের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে যেতে এক পর্যায়ে রোববার রাতে সে মারা যায়।
এসময় খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
সোমবার ২৪ জানুয়ারি বিকেলে সরেজমিন খোঁজ নিতে মন্ডলভাগ আক্তার হোসেন এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসায় গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদ্রাসার পাশে বসবাসকারী বাবুর্চি ও এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে হারানো ২০০ টাকা উদ্ধারে শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ কর্তৃক আরিফ ও অন্যান্য ছাত্রদের নির্যাতনের প্রমাণ মেলে। তবে, আরিফের পূর্বে থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল বলে জানায় বাবুর্চি।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন জানান, শিক্ষক কর্তৃক নির্যাতনের অভিযোগ উঠায় মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে আরিফের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রিপোর্ট পেয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও ঘটনা অনুসন্ধানে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
ভয়েসটিভি/এমএম
সোমবার ২৪ জানুয়ারি নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা। আর ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৯ বছরের শিশু আরিফ বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ডিগ্রিরচর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। সে আট মাস আগে মন্ডলভাগ আক্তার হোসেন এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। আরিফ লোহাগড়া মন্ডলভাগ আক্তার হোসেন এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশুনা করতো। গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর ২০০ টাকা হারানোর অভিযোগ উঠলে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ রাতে সব ছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে বেধড়ক লাঠিপেটা করে।
স্বজনদের অভিযোগ, সেদিন হাফেজ আব্দুল্লাহর বেদম প্রহারে শিশু আরিফ অসুস্থ হয়ে পড়লেও শিশুটিকে চিকিৎসা না দিয়ে ফেলে রাখা হয়। এভাবে তিন দিন অতিবাহিত হবার পর খবর পেয়ে স্বজনরা ২১ জানুয়ারি শুক্রবার গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিলেও ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। আরিফের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে যেতে এক পর্যায়ে রোববার রাতে সে মারা যায়।
এসময় খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
সোমবার ২৪ জানুয়ারি বিকেলে সরেজমিন খোঁজ নিতে মন্ডলভাগ আক্তার হোসেন এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসায় গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদ্রাসার পাশে বসবাসকারী বাবুর্চি ও এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে হারানো ২০০ টাকা উদ্ধারে শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ কর্তৃক আরিফ ও অন্যান্য ছাত্রদের নির্যাতনের প্রমাণ মেলে। তবে, আরিফের পূর্বে থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল বলে জানায় বাবুর্চি।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন জানান, শিক্ষক কর্তৃক নির্যাতনের অভিযোগ উঠায় মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে আরিফের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রিপোর্ট পেয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও ঘটনা অনুসন্ধানে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
ভয়েসটিভি/এমএম
সর্বশেষ সংবাদ