পাপ বলে বেড়ানোও পাপ


মুমিনের জন্য আবশ্যক হলো সব ধরনের পাপ ও অশ্লীল কাজ ত্যাগ করা। কারণ কিয়ামতের দিন প্রতিটি কাজের হিসাব দিতে হবে। এমনকি আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কিছু গোপন করতে না এই বিশ্বাসে যে তোমাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে না; উপরন্তু তোমরা মনে করতে যে তোমরা যা করতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২২)
কখনো কোনো পাপকাজ বা অশ্লীল কাজ হয়ে গেলেও তা গোপন রাখা। কারণ পাপ করে তা প্রকাশ করা বা অশ্লীলতার প্রসার ঘটানো ইসলামের দৃষ্টি জঘন্য অপরাধ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। ’ (সুরা : নুর, আয়াত : ১৯)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার সব উম্মতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী এর ব্যতিক্রম। আর নিশ্চয়ই এটা বড়ই অন্যায় যে কোনো লোক রাতের বেলা অপরাধ করল, যা আল্লাহ গোপন রেখেছেন। কিন্তু সে সকালে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক, আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার ওপর আল্লাহর দেওয়া আবরণ খুলে ফেলল। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৬৯)
নাউজুবিল্লাহ, অথচ বর্তমানে আমরা এতটাই বোধহীন হয়ে পড়েছি যে সামান্য কিছু লাইক-শেয়ার, সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য আমরা প্রকাশ্যে এসে গুনাহের কাজে আত্মনিয়োগ করছি, তা আবার নিজেরাই অনলাইনে ভাইরাল করছি।
অথচ আমাদের উচিত ছিল, পাপ থেকে দূরে থাকা, পাপ হয়ে গেলে অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহ কাছে ক্ষমা চাওয়া। পাপগুলো গোপন রাখা। কেননা পাপ হয়ে যাওয়ার পর তা গোপন রেখে যদি কেউ আল্লাহর ভয়ে পাপ থেকে ফিরে আসে এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করে, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন।
সফওয়ান ইবনে মুহরিজ (রহ.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি ইবনে উমর (রা.)-কে জিজ্ঞেস করল, আপনি নাজওয়ার (কিয়ামতের দিন আল্লাহ ও তাঁর মুমিন বান্দার মধ্যে গোপন আলোচনা) ব্যাপারে রাসুল (সা.)-কে কী বলতে শুনেছেন? (বর্ণনাকারী বলেন) তিনি বলেছেন, তোমাদের এক ব্যক্তি তার প্রতিপালকের এত কাছাকাছি হবে যে তিনি তার ওপর তাঁর নিজস্ব আবরণ টেনে দিয়ে দুবার জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এই এই কাজ করেছিলে? সে বলবে, হ্যাঁ। আবার তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এই এই কাজ করেছিলে? সে বলবে, হ্যাঁ। এভাবে তিনি তার স্বীকারোক্তি গ্রহণ করবেন। এরপর বলবেন, আমি দুনিয়াতে তোমার এগুলো লুকিয়ে রেখেছিলাম। আজ আমি তোমার এসব গুনাহ ক্ষমা করে দিলাম। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৭০)
সুবহানাল্লাহ, মহান আল্লাহ কতটা দয়ালু হলে তাঁর বান্দার পাপগুলোকে তিনি গোপনই রাখেন। এবং কিয়ামতের দিন মাফ করে দেন। কিন্তু বান্দা যদি তা নিজেই প্রচার করে দেয়, তাহলে তার আর সেই সুযোগ থাকে না।
/এএস
কখনো কোনো পাপকাজ বা অশ্লীল কাজ হয়ে গেলেও তা গোপন রাখা। কারণ পাপ করে তা প্রকাশ করা বা অশ্লীলতার প্রসার ঘটানো ইসলামের দৃষ্টি জঘন্য অপরাধ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। ’ (সুরা : নুর, আয়াত : ১৯)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার সব উম্মতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী এর ব্যতিক্রম। আর নিশ্চয়ই এটা বড়ই অন্যায় যে কোনো লোক রাতের বেলা অপরাধ করল, যা আল্লাহ গোপন রেখেছেন। কিন্তু সে সকালে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক, আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার ওপর আল্লাহর দেওয়া আবরণ খুলে ফেলল। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৬৯)
নাউজুবিল্লাহ, অথচ বর্তমানে আমরা এতটাই বোধহীন হয়ে পড়েছি যে সামান্য কিছু লাইক-শেয়ার, সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য আমরা প্রকাশ্যে এসে গুনাহের কাজে আত্মনিয়োগ করছি, তা আবার নিজেরাই অনলাইনে ভাইরাল করছি।
অথচ আমাদের উচিত ছিল, পাপ থেকে দূরে থাকা, পাপ হয়ে গেলে অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহ কাছে ক্ষমা চাওয়া। পাপগুলো গোপন রাখা। কেননা পাপ হয়ে যাওয়ার পর তা গোপন রেখে যদি কেউ আল্লাহর ভয়ে পাপ থেকে ফিরে আসে এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করে, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন।
সফওয়ান ইবনে মুহরিজ (রহ.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি ইবনে উমর (রা.)-কে জিজ্ঞেস করল, আপনি নাজওয়ার (কিয়ামতের দিন আল্লাহ ও তাঁর মুমিন বান্দার মধ্যে গোপন আলোচনা) ব্যাপারে রাসুল (সা.)-কে কী বলতে শুনেছেন? (বর্ণনাকারী বলেন) তিনি বলেছেন, তোমাদের এক ব্যক্তি তার প্রতিপালকের এত কাছাকাছি হবে যে তিনি তার ওপর তাঁর নিজস্ব আবরণ টেনে দিয়ে দুবার জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এই এই কাজ করেছিলে? সে বলবে, হ্যাঁ। আবার তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এই এই কাজ করেছিলে? সে বলবে, হ্যাঁ। এভাবে তিনি তার স্বীকারোক্তি গ্রহণ করবেন। এরপর বলবেন, আমি দুনিয়াতে তোমার এগুলো লুকিয়ে রেখেছিলাম। আজ আমি তোমার এসব গুনাহ ক্ষমা করে দিলাম। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৭০)
সুবহানাল্লাহ, মহান আল্লাহ কতটা দয়ালু হলে তাঁর বান্দার পাপগুলোকে তিনি গোপনই রাখেন। এবং কিয়ামতের দিন মাফ করে দেন। কিন্তু বান্দা যদি তা নিজেই প্রচার করে দেয়, তাহলে তার আর সেই সুযোগ থাকে না।
/এএস
সর্বশেষ সংবাদ