শিল্পীরা বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুর নামটি চিরভাস্বর রেখেছেন: প্রধানমন্ত্রী


বাংলাদেশের প্রতিটি সংগ্রাম ও অর্জনে এদেশের শিল্পী সমাজের অবদান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যারা শিল্পী-সাহিত্যিক আছেন, তারা তাদের লেখনির মধ্য দিয়ে, তাদের তুলির আঁচড়ে, কবিতার মাধ্যমে, গানের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুর নামটি চিরভাস্বর করে রেখেছেন। সেজন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, একটি প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে আমাদের শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি থেকেই শুরু করে সকলেই কাজ করেছেন। আর আমরা রাজনৈতিকভাবেও চেষ্টা চালিয়েছি। আমাদের দেশের প্রতিটি অর্জনে, সংগ্রামে কিন্তু আমাদের শিল্পীদের অনেক অবদান রয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈচিত্র্যময় ও বহুমাত্রিক জীবন নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনপট’ নামে শাহজাহান আহমেদ বিকাশের আঁকা দেড়শো ফুট আকারের চিত্রকর্মের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আন্দোলনে সব থেকে বেশি অবদান কবিদের: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মাঝ থেকে কেড়ে নিয়েছিল। সেই জন্য ২১ বছর এই জাতির জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। আর এই ২১ বছর একটা চেষ্টাই করা হয়েছিল যেন জাতির পিতার নাম না থাকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামটাই মুছে ফেলা...। সেটা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস হোক আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস হোক, সবকিছু থেকেই তাকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার একটি চেষ্টা হয়েছে।
পাকিস্তানিরা যেমন বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে, পঁচাত্তরের পর যারা স্বাধীনতাবিরোধী তারাও করেছেন বলেও এ সময় অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ভয়েসটিভি/আরকে