গ্যাসের পরেই বিদ্যুৎতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে গণশুনানি


গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে যে প্রস্তাব করা হয়েছিল সে বিষয়ে গণশুনানির তারিখ নির্ধারণ করতে রবিবার বৈঠক হচ্ছে। এই বৈঠকেই নিশ্চিত করা হবে গণশুনানির নতুন তারিখ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও এখন মূলত গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে গণশুনানি হবে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়টি আমরা পরে দেখবো’।
কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ বজলুর রহমান বলেন, ‘কমিশন প্রথমে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের সমাধান করতে আগ্রহী। গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হলে এর প্রভাব বিদ্যুতেও পড়বে। তাই গ্যাসের দরের বিষয়ে আমরা একটি ধারণায় পৌঁছতে পারলে পরে বিদ্যুতের প্রস্তাবের প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক হবে’।
এদিকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এক প্রস্তাবে বলেন, চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ বেড়ে গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২.১৩ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.১৬ টাকায়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, কয়লার মূসক বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে ইউনিটপ্রতি উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ৪.২৪ টাকায়।
আরও পড়ুন : গ্যাসের সমস্যা কমানোর ঘরোয়া উপায়
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্যাসের দর গড়ে ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করেছে পেট্রোবাংলা। এতে বলা হয়েছে, বিক্রয়মূল্য না বাড়লে বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হবে।
জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা অতিরিক্ত। বিইআরসিকে তাদের ব্যয়-ভর্তুকির হিসাবে কোনো গরমিল আছে কি না, অতিরঞ্জিত করা হয়েছে কি না—সব কিছু খতিয়ে দেখতে হবে। আরেকটি হচ্ছে সিস্টেম লস দেখিয়ে পুরো গ্যাসের সিস্টেম থেকে গ্যাস চুরি হচ্ছে, সেটি বন্ধ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে দাম বাড়াতে হবে।
ম. তামিম বলেন, ‘গ্যাসের দাম কতটুকু বাড়ালে অর্থনীতিতে কী পরিমাণ প্রভাব পড়তে পারে, এটি বুঝে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ গ্যাসের দাম যদি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তাহলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। আশা করছি, সরকার এসব বিষয় চিন্তাভাবনা করেই দাম বাড়াবে। ’
বিইআরসি হচ্ছে দাম চূড়ান্ত করার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান। তারা আবেদন পাওয়ার পর প্রথমে যাচাই-বাছাই করে দেখে। আবেদন যথাযথ হলে গণশুনানি করে দর ঘোষণা করা হয়। পাইকারি দাম বাড়ানো হলে বিতরণকারী কম্পানিগুলো সেটাকে ভিত্তি ধরে খুচরা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়ে থাকে।
ভয়েসটিভি/এমএম
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও এখন মূলত গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে গণশুনানি হবে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়টি আমরা পরে দেখবো’।
কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ বজলুর রহমান বলেন, ‘কমিশন প্রথমে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের সমাধান করতে আগ্রহী। গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হলে এর প্রভাব বিদ্যুতেও পড়বে। তাই গ্যাসের দরের বিষয়ে আমরা একটি ধারণায় পৌঁছতে পারলে পরে বিদ্যুতের প্রস্তাবের প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক হবে’।
এদিকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এক প্রস্তাবে বলেন, চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ বেড়ে গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২.১৩ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.১৬ টাকায়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, কয়লার মূসক বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে ইউনিটপ্রতি উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ৪.২৪ টাকায়।
আরও পড়ুন : গ্যাসের সমস্যা কমানোর ঘরোয়া উপায়
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্যাসের দর গড়ে ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করেছে পেট্রোবাংলা। এতে বলা হয়েছে, বিক্রয়মূল্য না বাড়লে বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হবে।
জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা অতিরিক্ত। বিইআরসিকে তাদের ব্যয়-ভর্তুকির হিসাবে কোনো গরমিল আছে কি না, অতিরঞ্জিত করা হয়েছে কি না—সব কিছু খতিয়ে দেখতে হবে। আরেকটি হচ্ছে সিস্টেম লস দেখিয়ে পুরো গ্যাসের সিস্টেম থেকে গ্যাস চুরি হচ্ছে, সেটি বন্ধ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে দাম বাড়াতে হবে।
ম. তামিম বলেন, ‘গ্যাসের দাম কতটুকু বাড়ালে অর্থনীতিতে কী পরিমাণ প্রভাব পড়তে পারে, এটি বুঝে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ গ্যাসের দাম যদি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তাহলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। আশা করছি, সরকার এসব বিষয় চিন্তাভাবনা করেই দাম বাড়াবে। ’
বিইআরসি হচ্ছে দাম চূড়ান্ত করার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান। তারা আবেদন পাওয়ার পর প্রথমে যাচাই-বাছাই করে দেখে। আবেদন যথাযথ হলে গণশুনানি করে দর ঘোষণা করা হয়। পাইকারি দাম বাড়ানো হলে বিতরণকারী কম্পানিগুলো সেটাকে ভিত্তি ধরে খুচরা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়ে থাকে।
ভয়েসটিভি/এমএম
সর্বশেষ সংবাদ