ভোরের ফাঁকা রাস্তায় টার্গেট খোঁজেন তারা


বাংলাদেশের একটি মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত ভারতীয় দুই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুটের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও কেরানীগঞ্জে শুক্রবার ধারাবাহিক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন ফখরুল ইসলাম ফকু, আলমাস, সামুন, আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আহম্মেদ আসিক, শাহিন, বাবু ও শফিকুল ইসলাম। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, দুটি চাপাতি, লুণ্ঠিত একটি ল্যাপটপ ও লুণ্ঠিত এক মোবাইলসহ ১৮টি মোবাইল, লুণ্ঠিত ৪৩ হাজার ৯৫০ ভারতীয় রুপি ও ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ডা. সিরাজুল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই ভারতীয় শিক্ষার্থী শাহীল আহমেদ ও আসিফ ইকবাল থাকতেন মগবাজার এলাকার হোস্টেলে। গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে দুই সপ্তাহের ছুটিতে দেশে যাওয়ার উদ্দেশে হোস্টেল থেকে বের হন তারা।
ওই সময় গ্রামীণ চেক শোরুমের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার তাদের সামনে এসে গতিরোধ করে। এরপর প্রাইভেটকার থেকে অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী ৪ জন তাদের ঘিরে ফেলে।
মাহবুব জানান, মুখোশধারীদের মধ্যে দুজন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে ধরে এবং অপর দুজন তাদের সঙ্গে থাকা একটি ট্রলিব্যাগ, একটি হ্যান্ডব্যাগ, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন, ৫৭ হাজার ভারতীয় রুপি ও ৭ হাজার ৬ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ওই ঘটনার দিনই রমনা মডেল থানায় মামলা হয়। মামলাটি ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতিতে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে ডিবির রমনা বিভাগ।
মাহবুব আলম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ডাকাতির ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি জানায়, ভোরে যখন রাস্তা ফাঁকা থাকে, তখন ছিনতাই করতে নামেন এই চক্রের সদস্যরা। বিশেষ করে, পুলিশের টহল দল নেই এমন স্থানকে ছিনতাইয়ের জন্য বেছে নেন তারা। যাতে ছিনতাই করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে পারেন তারা।
পুলিশের নজরদারি কম থাকার কারণে রাতে প্রায়ই এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন চক্রের সদস্যরা। টহল পুলিশ থাকে না এমন স্থানে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।
ভয়েস টিভি/এসএফ
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন ফখরুল ইসলাম ফকু, আলমাস, সামুন, আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আহম্মেদ আসিক, শাহিন, বাবু ও শফিকুল ইসলাম। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, দুটি চাপাতি, লুণ্ঠিত একটি ল্যাপটপ ও লুণ্ঠিত এক মোবাইলসহ ১৮টি মোবাইল, লুণ্ঠিত ৪৩ হাজার ৯৫০ ভারতীয় রুপি ও ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ডা. সিরাজুল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই ভারতীয় শিক্ষার্থী শাহীল আহমেদ ও আসিফ ইকবাল থাকতেন মগবাজার এলাকার হোস্টেলে। গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে দুই সপ্তাহের ছুটিতে দেশে যাওয়ার উদ্দেশে হোস্টেল থেকে বের হন তারা।
ওই সময় গ্রামীণ চেক শোরুমের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার তাদের সামনে এসে গতিরোধ করে। এরপর প্রাইভেটকার থেকে অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী ৪ জন তাদের ঘিরে ফেলে।
মাহবুব জানান, মুখোশধারীদের মধ্যে দুজন ভারতীয় শিক্ষার্থীদের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে ধরে এবং অপর দুজন তাদের সঙ্গে থাকা একটি ট্রলিব্যাগ, একটি হ্যান্ডব্যাগ, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন, ৫৭ হাজার ভারতীয় রুপি ও ৭ হাজার ৬ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ওই ঘটনার দিনই রমনা মডেল থানায় মামলা হয়। মামলাটি ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতিতে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে ডিবির রমনা বিভাগ।
মাহবুব আলম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ডাকাতির ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি জানায়, ভোরে যখন রাস্তা ফাঁকা থাকে, তখন ছিনতাই করতে নামেন এই চক্রের সদস্যরা। বিশেষ করে, পুলিশের টহল দল নেই এমন স্থানকে ছিনতাইয়ের জন্য বেছে নেন তারা। যাতে ছিনতাই করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে পারেন তারা।
পুলিশের নজরদারি কম থাকার কারণে রাতে প্রায়ই এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন চক্রের সদস্যরা। টহল পুলিশ থাকে না এমন স্থানে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।
ভয়েস টিভি/এসএফ
সর্বশেষ সংবাদ