রায়ানের মতো বাঁচানো গেল না হায়দারকেও!


মরক্কোর এক কূপে পড়ে যাওয়া শিশু রায়ানের মর্মান্তিক মৃত্যুর দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানের জাবুল প্রদেশের শোকাক গ্রামের একটি গভীর কূপে পড়ে যায় পাঁচ বছর বয়সী শিশু হায়দার। তিনদিন ধরে সেখানে আটকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো গেলোনা।
১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর তার জ্ঞান ছিল না।
তবে জাবুল প্রদেশের মুখপাত্র জবিউল্লাহ জওহর বলেন, উদ্ধারের পর প্রথম কয়েক মিনিট শ্বাস নিচ্ছিল হায়দার। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, মরক্কোর এক কূপে পড়ে যাওয়া শিশু রায়ানের মর্মান্তিক মৃত্যুর দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানে এমন ঘটনা ঘটল। রায়ানের মৃত্যু বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছে, হায়দারের বেলায় এমন পরিণতি না ঘটুক।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে গভীর কূপে আটকা পড়েছে এক শিশু
তালেবান কর্মকর্তা বলেছেন, শিশুটি কান্দাহার থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পূর্ব দিকের এক গ্রামের ৮০ ফুট গভীর এক কূপে পড়ে গেছে। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটি কূপের মধ্যে পড়ে আছে, কিন্তু সে হাত-পা নাড়াচাড়া করছে। শিশু হায়দারের বাবা তাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘তুমি কি ঠিক আছ? আমার সঙ্গে কথা বলো। আমরা তোমাকে কূপ থেকে তুলে আনার চেষ্টা করছি।’
জবাবে ক্ষীণ কণ্ঠে হায়দার বলেছে, ‘ঠিক আছে। আমি কথা বলতেই থাকব।’
এর আগে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার কূপের মধ্যে পড়ে যাওয়া শিশুটির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
হায়দারের দাদা হাজি আবদুল হাদী বলেন, ‘আমাদের গ্রামটি খরাবিধ্বস্ত। এখানে পানির খুব অভাব। একটি নতুন কূপ খোঁড়ার সময় বড়দের সাহায্য করতে গিয়ে সে অন্য একটি কূপে পড়ে যায়। কূপটি খোলা ছিল। পড়ে যাওয়ার পর সে চিৎকার করছিল।’
ভয়েসটিভি/আরকে