হত্যার দায় জিনের ওপর, ১২ দিনের মাথায় শিশুর লাশ উত্তোলন


বগুড়ার কাহালুর দামাই গ্রামে জিনের কবলে পড়ে শিশু সাবাহ আক্তার খুন হয়েছে বলে কবর দেওয়া হয়। হত্যার দোষ চাপা দেওয়ার কারণে কবরস্থ করার পর মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন আদালত। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির মরদেহ দাফনের ১২ দিন পর কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসময় সময় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক, কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ আমবার হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাহালু সদর ইউনিয়নের দামাই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে জেরিন (৯) ছোট বোন সাবা মনিকে নিয়ে প্রতিবেশী হাফিজার রহমানের গাছে বড়ই কুড়াতে যায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও দুই বোন বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। পরে বড়ই গাছের নিচে সাবা মনিকে মৃত ও জেরিনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়।
তাদেরকে উদ্ধারের পর রেজওয়ান ও তার পরিবারের লোকজন সাবা মনির মৃত্যুর জন্য জিনের আক্রমণকে দায়ী করে এলাকায় প্রচার করে রাতেই তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন সম্পন্ন করেন। সংজ্ঞাহীন জেরিনকে বগুড়া ডক্টর ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ডক্টর ক্লিনিকে জেরিন কিছুটা সুস্থ হয়ে জানায়- তাদের চাচা রেজওয়ান সাবা মনির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় জেরিন চিৎকার করলে তার মাথায়ও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। জেরিন সুস্থ হওয়ার পর থেকে তার চাচা রেজওয়ান আত্মগোপন করেন। এই ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতেই জেরিনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম কাহালু থানায় মামলা করেন।
মামলা দায়েরের রাতেই কাহালু থানা পুলিশ রেজওয়ানকে গ্রেফতার করে। পরের দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড-সহ সাবা মনির মরাদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ উত্তোলনের এই নির্দেশ দেন।
ভয়েসটিভি/এমএম
এসময় সময় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক, কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ আমবার হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাহালু সদর ইউনিয়নের দামাই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে জেরিন (৯) ছোট বোন সাবা মনিকে নিয়ে প্রতিবেশী হাফিজার রহমানের গাছে বড়ই কুড়াতে যায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও দুই বোন বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। পরে বড়ই গাছের নিচে সাবা মনিকে মৃত ও জেরিনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়।
তাদেরকে উদ্ধারের পর রেজওয়ান ও তার পরিবারের লোকজন সাবা মনির মৃত্যুর জন্য জিনের আক্রমণকে দায়ী করে এলাকায় প্রচার করে রাতেই তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন সম্পন্ন করেন। সংজ্ঞাহীন জেরিনকে বগুড়া ডক্টর ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ডক্টর ক্লিনিকে জেরিন কিছুটা সুস্থ হয়ে জানায়- তাদের চাচা রেজওয়ান সাবা মনির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় জেরিন চিৎকার করলে তার মাথায়ও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। জেরিন সুস্থ হওয়ার পর থেকে তার চাচা রেজওয়ান আত্মগোপন করেন। এই ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতেই জেরিনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম কাহালু থানায় মামলা করেন।
মামলা দায়েরের রাতেই কাহালু থানা পুলিশ রেজওয়ানকে গ্রেফতার করে। পরের দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড-সহ সাবা মনির মরাদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ উত্তোলনের এই নির্দেশ দেন।
ভয়েসটিভি/এমএম
সর্বশেষ সংবাদ