জয়ে ফিরলো সাকিবের বরিশাল


বিপিএল অষ্টম আসরের চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ১৭ রানে পরাজিত করে আসরের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল।
আসরে তারা চার ম্যাচ খেলে দুটিতে জয় তুলে নিয়েছে। খুলনার বিপক্ষে এটি প্রথম জয়।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুপুর সাড়ে ১২টায় মাচটি শুরু হয়।
বরিশালের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে শুরুতেই চেপে ধরেন আসরে প্রথমবারের মতো বরিশালের হয়ে মাঠে নামা আফগান রিক্রুট মুজিব-উর-রহমান।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাতে ফেরান আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকারকে।
ফ্লেচার আউট হন ৪ রান করে। পরের বলেই লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন সৌম্য সরকার।
আরও পড়ুন: ভারতের তিন টপ অর্ডারকে দিয়ে ‘ড্রিম হ্যাটট্রিক’ করতে চান আফ্রিদি
খুলনা এরপর অবশ্য পাওয়া প্লেতে আর উইকেট হারায়নি। তবে ৬ ওভারে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারে তারা। সপ্তম ওভারে এসে সাকিবের শিকার হন উইকেটে সেট হওয়া মেহেদী হাসান।
২৩ বলে ১৭ রান করে আইট হন মেহেদী। বরিশালে চ্যায়ানম্যান জ্যাক লিনটট তুলে নেন রনি তালুকদারকে।
রনি ১৪ রান করে আউট হলে ৪০ রান তুলতেই প্রথম সারির ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলি দলের হাল ধরেন। এ দুজন গড়েন ৪৬ রানের পার্টনারশিপ।
তবে দলীয় ৮৬ রানে মেহেদী হাসান রানার বলে বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। তার আগে ২০ বলে ২৩ রান করেন তিনি
ষষ্ঠ উইকেটে শ্রীলঙ্কান রিক্রুট থিসারা পেরেরা শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করতে থাকেন। কিন্তু শফিকুলের শিকার হওয়ার আগে এক চার ও ২ ছয়ে ৯ বলে ১৯ রান করেন তিনি।
আরেক লঙ্কান সেকুগে প্রসন্ন আজ সুবিধা করতে পারেননি। লিনটটের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ফরহাদ রেজা মেহেদী হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
তবে অপর প্রান্তে দলের রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ফরহাদ রেজাকে আউট করার একই ওভারের শেষ দুই বলে শরিফউল্লাহ (১) ও মুশফিকের উইকেট তুলে নিয়ে খুলনার ইনিংস ১২৪ রানে থামিয়ে দেন রানা। এতে ১৭ রানে জয় পায় বরিশাল।
মুশফিক তার আগে একটি করে চার ও সমান ছক্কায় ৩৬ বলে ৪০ রান করে। বরিশালের হয়ে রানা ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে একাই নেন ৪ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ফরচুন বরিশাল। এদিন ব্যাটিং অর্ডারের প্রমোশন নিয়ে ওপেনিংয়ে ফেরেন ক্রিস গেইল, তার সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে নামেন জ্যাক লিনটট। তবে লিনটট ৬ বলে ১১ রান করে শরিফউল্লাহর বলে বোল্ড হন।
তিনে নামা জিয়াউর রহমান কামরুল ইসলাম রাব্বিকে ব্যাক টু ব্যাক ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে শেখ মেহেদীর হাতে ধরা পড়েন। ১৩ বলে ১০ রান করেন তিনি। অন্য প্রান্তে দেখেশুনে খেলতে থাকেন গেইল।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ফিফটির দিকে ছুঁটতে থাকা গেইলকে থামান লঙ্কান প্রসন্ন। তার আগে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৪৫ রান করেন ইউনিভার্স বস।
চারে নামা নুরুল হাসান সোহান সুবিধা করতে পারেননি। ১১ বলে ৮ রান করে শেখ মেহেদীর শিকারে পরিণত হন।
৮৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। পঞ্চম উইকেটে তারা করেন ৩৫ রান। ১৭তম ওভারে হৃদয় ২১ বলে ২৩ রান করে ফরহাদ রেজার বলে আউট হলে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক সাকিব।
ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে নিচে নামলেও হাসেনি সাকিবের ব্যাট। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের বার্তা দেয়া সাকিব ২টি চার মেরে ফেরেন ৯ রান করে।
লঙ্কান পেরেরার করা সে ওভারের ২ বল পরেই প্যাভিলিয়নে শান্ত। বোল্ড হয়ে ফেরেন ১৫ বলে ১৯ রান করে। সৈকত আলির বদলে সুযোগ পাওয়া ইরফান শুক্কুর ৪ বলে ২ রান করে রেজার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে বরিশাল ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৪১ রান। খুলনার পক্ষে পেরেরা ১৮ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ফরহাদ রেজাও পান সমান ২টি উইকেট।
আসরে তারা চার ম্যাচ খেলে দুটিতে জয় তুলে নিয়েছে। খুলনার বিপক্ষে এটি প্রথম জয়।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুপুর সাড়ে ১২টায় মাচটি শুরু হয়।
বরিশালের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে শুরুতেই চেপে ধরেন আসরে প্রথমবারের মতো বরিশালের হয়ে মাঠে নামা আফগান রিক্রুট মুজিব-উর-রহমান।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাতে ফেরান আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকারকে।
ফ্লেচার আউট হন ৪ রান করে। পরের বলেই লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন সৌম্য সরকার।
আরও পড়ুন: ভারতের তিন টপ অর্ডারকে দিয়ে ‘ড্রিম হ্যাটট্রিক’ করতে চান আফ্রিদি
খুলনা এরপর অবশ্য পাওয়া প্লেতে আর উইকেট হারায়নি। তবে ৬ ওভারে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারে তারা। সপ্তম ওভারে এসে সাকিবের শিকার হন উইকেটে সেট হওয়া মেহেদী হাসান।
২৩ বলে ১৭ রান করে আইট হন মেহেদী। বরিশালে চ্যায়ানম্যান জ্যাক লিনটট তুলে নেন রনি তালুকদারকে।
রনি ১৪ রান করে আউট হলে ৪০ রান তুলতেই প্রথম সারির ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলি দলের হাল ধরেন। এ দুজন গড়েন ৪৬ রানের পার্টনারশিপ।
তবে দলীয় ৮৬ রানে মেহেদী হাসান রানার বলে বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। তার আগে ২০ বলে ২৩ রান করেন তিনি
ষষ্ঠ উইকেটে শ্রীলঙ্কান রিক্রুট থিসারা পেরেরা শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করতে থাকেন। কিন্তু শফিকুলের শিকার হওয়ার আগে এক চার ও ২ ছয়ে ৯ বলে ১৯ রান করেন তিনি।
আরেক লঙ্কান সেকুগে প্রসন্ন আজ সুবিধা করতে পারেননি। লিনটটের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ফরহাদ রেজা মেহেদী হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
তবে অপর প্রান্তে দলের রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ফরহাদ রেজাকে আউট করার একই ওভারের শেষ দুই বলে শরিফউল্লাহ (১) ও মুশফিকের উইকেট তুলে নিয়ে খুলনার ইনিংস ১২৪ রানে থামিয়ে দেন রানা। এতে ১৭ রানে জয় পায় বরিশাল।
মুশফিক তার আগে একটি করে চার ও সমান ছক্কায় ৩৬ বলে ৪০ রান করে। বরিশালের হয়ে রানা ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে একাই নেন ৪ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ফরচুন বরিশাল। এদিন ব্যাটিং অর্ডারের প্রমোশন নিয়ে ওপেনিংয়ে ফেরেন ক্রিস গেইল, তার সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে নামেন জ্যাক লিনটট। তবে লিনটট ৬ বলে ১১ রান করে শরিফউল্লাহর বলে বোল্ড হন।
তিনে নামা জিয়াউর রহমান কামরুল ইসলাম রাব্বিকে ব্যাক টু ব্যাক ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে শেখ মেহেদীর হাতে ধরা পড়েন। ১৩ বলে ১০ রান করেন তিনি। অন্য প্রান্তে দেখেশুনে খেলতে থাকেন গেইল।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ফিফটির দিকে ছুঁটতে থাকা গেইলকে থামান লঙ্কান প্রসন্ন। তার আগে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৪৫ রান করেন ইউনিভার্স বস।
চারে নামা নুরুল হাসান সোহান সুবিধা করতে পারেননি। ১১ বলে ৮ রান করে শেখ মেহেদীর শিকারে পরিণত হন।
৮৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। পঞ্চম উইকেটে তারা করেন ৩৫ রান। ১৭তম ওভারে হৃদয় ২১ বলে ২৩ রান করে ফরহাদ রেজার বলে আউট হলে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক সাকিব।
ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে নিচে নামলেও হাসেনি সাকিবের ব্যাট। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের বার্তা দেয়া সাকিব ২টি চার মেরে ফেরেন ৯ রান করে।
লঙ্কান পেরেরার করা সে ওভারের ২ বল পরেই প্যাভিলিয়নে শান্ত। বোল্ড হয়ে ফেরেন ১৫ বলে ১৯ রান করে। সৈকত আলির বদলে সুযোগ পাওয়া ইরফান শুক্কুর ৪ বলে ২ রান করে রেজার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে বরিশাল ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৪১ রান। খুলনার পক্ষে পেরেরা ১৮ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ফরহাদ রেজাও পান সমান ২টি উইকেট।
সর্বশেষ সংবাদ