‘সালমান শাহ আমার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার’


ঢাকাই সিনেমার এক ক্ষণজন্মা ধূমকেতুর নাম সালমান শাহ । ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মাত্র ৪ বছরের সিনেযাত্রায় তিনি এখনও দখল করে আছেন বাংলাদেশের অগনিত দর্শকের হৃদয়।
১৯৮৫ সালে নাটকে অভিনয় দিয়ে যাত্রা শুরু করা সালমান সিনেমায় আসেন ১৯৯২ সালে খ্যাতনামা পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে। এরপরের ইতিহাস সবারই জানা। কয়েক বছরে সালমান উপহার দিয়ে গেছেন একের পর এক ব্যাবসাসফল চলচ্চিত্র ।
ক্ষণজন্মা এই নায়কের ৪৯তম জন্মবার্ষিকীতে সোহানুর রহমান সোহান জানালেন তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারের নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন।
আরও পড়ুন- সালমান শাহ হত্যা : চূড়ান্ত প্রতিবেদনের শুনানি ১১ অক্টোবর
সোহান বলেন, ‘তাকে আবিষ্কারের ঘটনাটা বেশ চমকপ্রদ । হয়তো আমার কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমা দিয়ে তার যাত্রা শুরু হতো না । হয়তো অন্য কোনো পরিচালকের হাত ধরে অন্য কোনো সিনেমায় আমরা তাকে পেতাম । কারণ এই সিনেমায় আমি জুটি হিসেবে প্রথম চিন্তা করি নাইম-শাবনাজকে। তখন ওরা ঢাকাই সিনেমায় বেশ আলোচিত জুটি। ওদের সঙ্গে কথা বলি, তারাও সুযোগ খুঁজতে থাকে। তবে ওদের কোন একটা সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় ছিল তখন। ওরা ভাবলো, সিনেমাটা মুক্তি পেলে ওদের তারকাখ্যাতি আরও বাড়বে, তখন আমার সিনেমায় কাজ করবে। আমার হাতে তখন ৩টি রিমেকের কাজ নিয়ে এসেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। আমি অন্য দুটি ছবির জন্য নতুন মুখ খুঁজতে থাকলাম।’
সনম বেওয়াফা সিনেমার রিমেকের জন্য সোহানুর রহমান সোহান বাছাই করেন মৌসুমীকে। কিন্তু নায়ক কে? একজন নতুন নায়ক নিতে চান তিনি এই সিনেমায়। তখন একদিন আলমগীরের সাবেক স্ত্রী খোশনুর আলমগীর এ পরিচালকের কাছে সালমানের নাম প্রস্তাব করেন।
এই স্মৃতিচারণে নির্মাতা বলেন, ‘এই ঘটনাটাও বেশ মজার। আত্মবিশ্বাস ছিল ছেলেটার। আমি তাকে প্রস্তাব করলাম একটা সিনেমার জন্য সে কিনা উলটো আমাকে প্রস্তাবনা দেয় আরেকটা সিনেমায় অভিনয় করবে বলে। আমাকে সালমান বলে, ‘আমি কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমাটা ২৬ বার দেখেছি। আমাকে ওই সিনেমার জন্যে নেন। ‘’ আমি আসলে সেদিন ওর সাহসে অবাক হইনি, আশাবাদী হয়েছি। মনে মনে ভেবেছি এমন সাহসই তো খুঁজছিলাম আমি। এরপর নাইম শাবনাজের পরিবর্তে কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমা হয়েছে সালমান শাহ-মৌসুমীর। আর সালমান হয়ে গেলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারের নাম।’
সালমানের একনিষ্ঠতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে এই পরিচালক বলেন, ‘ছেলেটা খুব ইমোশোনাল ছিল। ফ্যাশনের প্রতি ছিল চূড়ান্ত আন্তরিক। অভিনয়ের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতো না। তাই হয়ত মাত্র চার বছরের সিনেমা জীবনেও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে সবার মাঝে’’।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ
১৯৮৫ সালে নাটকে অভিনয় দিয়ে যাত্রা শুরু করা সালমান সিনেমায় আসেন ১৯৯২ সালে খ্যাতনামা পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে। এরপরের ইতিহাস সবারই জানা। কয়েক বছরে সালমান উপহার দিয়ে গেছেন একের পর এক ব্যাবসাসফল চলচ্চিত্র ।
ক্ষণজন্মা এই নায়কের ৪৯তম জন্মবার্ষিকীতে সোহানুর রহমান সোহান জানালেন তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারের নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন।
আরও পড়ুন- সালমান শাহ হত্যা : চূড়ান্ত প্রতিবেদনের শুনানি ১১ অক্টোবর
সোহান বলেন, ‘তাকে আবিষ্কারের ঘটনাটা বেশ চমকপ্রদ । হয়তো আমার কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমা দিয়ে তার যাত্রা শুরু হতো না । হয়তো অন্য কোনো পরিচালকের হাত ধরে অন্য কোনো সিনেমায় আমরা তাকে পেতাম । কারণ এই সিনেমায় আমি জুটি হিসেবে প্রথম চিন্তা করি নাইম-শাবনাজকে। তখন ওরা ঢাকাই সিনেমায় বেশ আলোচিত জুটি। ওদের সঙ্গে কথা বলি, তারাও সুযোগ খুঁজতে থাকে। তবে ওদের কোন একটা সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় ছিল তখন। ওরা ভাবলো, সিনেমাটা মুক্তি পেলে ওদের তারকাখ্যাতি আরও বাড়বে, তখন আমার সিনেমায় কাজ করবে। আমার হাতে তখন ৩টি রিমেকের কাজ নিয়ে এসেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। আমি অন্য দুটি ছবির জন্য নতুন মুখ খুঁজতে থাকলাম।’
সনম বেওয়াফা সিনেমার রিমেকের জন্য সোহানুর রহমান সোহান বাছাই করেন মৌসুমীকে। কিন্তু নায়ক কে? একজন নতুন নায়ক নিতে চান তিনি এই সিনেমায়। তখন একদিন আলমগীরের সাবেক স্ত্রী খোশনুর আলমগীর এ পরিচালকের কাছে সালমানের নাম প্রস্তাব করেন।
এই স্মৃতিচারণে নির্মাতা বলেন, ‘এই ঘটনাটাও বেশ মজার। আত্মবিশ্বাস ছিল ছেলেটার। আমি তাকে প্রস্তাব করলাম একটা সিনেমার জন্য সে কিনা উলটো আমাকে প্রস্তাবনা দেয় আরেকটা সিনেমায় অভিনয় করবে বলে। আমাকে সালমান বলে, ‘আমি কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমাটা ২৬ বার দেখেছি। আমাকে ওই সিনেমার জন্যে নেন। ‘’ আমি আসলে সেদিন ওর সাহসে অবাক হইনি, আশাবাদী হয়েছি। মনে মনে ভেবেছি এমন সাহসই তো খুঁজছিলাম আমি। এরপর নাইম শাবনাজের পরিবর্তে কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমা হয়েছে সালমান শাহ-মৌসুমীর। আর সালমান হয়ে গেলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারের নাম।’
সালমানের একনিষ্ঠতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে এই পরিচালক বলেন, ‘ছেলেটা খুব ইমোশোনাল ছিল। ফ্যাশনের প্রতি ছিল চূড়ান্ত আন্তরিক। অভিনয়ের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতো না। তাই হয়ত মাত্র চার বছরের সিনেমা জীবনেও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে সবার মাঝে’’।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ
সর্বশেষ সংবাদ