এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়


আফগানিস্তানকে ৮৮ রানে হারিয়ে ‘প্রিয়’ ফরম্যাট ওয়ানডেতে আবার সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ দল। চট্টগ্রামে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে লিটন দাসের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে স্কোর বোর্ডে ৩০৬ রানে বিশাল সংগ্রহ করে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পায় স্বাগতিকরা।
এতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো টাইগাররা।এটি আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম তিনশ পার করা পুঁজি। ৩০৭ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকাতে নেমে ২১৮ রানে অলআউট হয় আফগানরা। সঙ্গে সবাইকে ছাপিয়ে ওয়ার্ল্ডকাপ সুপার লিগের শীর্ষে টাইগাররা।
এর ফলে একদিনের ক্রিকেটে ২৭ নম্বর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এটি টাইগারদের ঘরের মাঠে টানা পঞ্চম এবং সব মিলিয়ে টানা তৃতীয় সিরিজ জয়।
চট্টগ্রামে শুরুতেই আফগানদের চাপে ফেলে দিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ৩৪ রানে তুলে নিতে পেরেছিল ৩ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতেও সফরকারীরা যে মাথা তুলতে পারবে, অবস্থাদৃষ্টে তা মনে হচ্ছিল না। রহমত-নাজিবুল্লাহ জুটি পরে সেটিই করে দেখাচ্ছিলেন। দুজনের হাফসেঞ্চুরি আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছিল আফগান শিবিরের। কিন্তু ২৫তম ওভারে রহমতকে ফিরিয়ে ম্যাচের পুনরায় নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
তাসকিনের বলে বেলস পড়ে যাওয়া রহমত করেছেন ৫২ রান। জুটি ভাঙার পর সঙ্গী নাজিবুল্লাহও বেশি দূর যেতে পারেননি। তাসকিনের ২৯তম ওভারে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন। তাতে ৫৪ রানে ফিরতে হয়েছে নাজিবুল্লাহকে।
আফগান ইনিংসের মূল আকর্ষণই ছিল ওই দুজনের ব্যাটিং। জুটিটা আগেই ভাঙা যেত, যদি না ১৭তম ওভারে জাদরানের ক্যাচ মিস করতেন শরিফুল।
শেষ স্বীকৃত জুটি হিসেবে রহমানুল্লাহ গুরবাজ কিংবা মোহাম্মদ নবী সেভাবে ঝলক দেখাতে পারেননি। চোটের কারণে পরে নামা গুরবাজতো সাকিবের বলে বোল্ড হয়েছেন। করেছেন মাত্র ৭ রান। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে নবী ৪০ বলে ৩২ রান করলেও ততক্ষণে দিশা হারিয়ে ফেলেছে আফগানদের ব্যাটিং। নবীকে আফিফের ক্যাচ বানান মিরাজ। রশিদ খান বেশ কিছু শটস খেললেও বেশিক্ষণ সেটি চলতে দেননি মোস্তাফিজ। ২৯ রানে তাকে বোল্ড করেছেন।
শেষ ম্যাচে ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জেতার পর সাকিব-তামিম প্রত্যাশা মেটাতে না পারলেও আফগানদের সামলাতে লিটন-মুশফিক জুটিই ছিল যথেষ্ট। ব্যাটসম্যানরা যখন রুদ্ররূপী হয়ে উঠেন, তখন বোলাররা যে কতটা অসহায় হয়ে পড়েন, তার স্পষ্ট উদাহরণ ছিল দ্বিতীয় ওয়ানডে। ইনিংসের মাঝপথে সাত বোলার ব্যবহার করেও লিটন দাস-মুশফিকুর রহিমকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। বরং সফরকারীদের ওপর আগ্রাসন বাড়িয়ে রানের ফুল ফুটিয়েছেন দুই ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেটে তাদের রেকর্ড জুটিতেই ৪ উইকেটে ৩০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ২০২ রানের যে জুটি নির্ধারণ গড়ে দিয়েছে তিনশো রানের ভিত।
ভয়েসটিভি/আরকে